মতবিরোধ থাকতেই পারে
তবুও বলছি, ভুল নয়
সত্যকে অস্বীকার করার কোন যুক্তি খুঁজে পাইনি
শোষকের সঙ্গে; ছলনার সঙ্গে সন্ধির কোন প্রয়োজন দেখিনি
দেরী হলেও,  ছিনিয়ে নেওয়া অধিকার রক্তে মিশে থাকে
যুগ যুগান্তে জিন থেকে জিনে তা প্রবাহিত হয়
মেরুদন্ডের প্রতিটি জোড় অটুট বন্ধনে অর্জনের কথা স্মরণ করে
প্রতিটি ধমনী সচল থেকে সাহস যোগায় জীবনের প্রতিপদে
সত্যের জন্য নির্ভিক আপোষহীন জীবন;  পৌঁছে দেয় সার্বিক মূল্যবোধে।


যে জাতি মূল্যবোধহীন চেতনায় অধিকারের স্বপ্ন দেখে
সে অধিকার পেলেও,  সুস্থ  - জীবন প্রসব করেনা  
সাময়িক লাভ হলেও সঙ্কটে জর্জরিত হতে বাধ্য ভবিষ্যতে
ভিক্ষা কখনো সম্মান বা অধিকারের দাবীদার হতে পারে না
চোর চুরি করে, তাকেও সমাজ মনে রাখে কিন্তু অন্যভাবে
প্রভুত অর্থ সম্পত্তির অধিকারি হতে পারে, সম্মানের নয়।


ছেলেটা প্রথম যে দিন জমিতে হাল দিতে নেমেছিল, ভীষন কষ্টের ছিল
কিশোর ছেলেটা পঁচিশ কেজি ওজনের মাল বহন করে দুঘণ্টা ধরে
হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরছিল, সে দিনটাও সুখের ছিল না
প্রথম কাস্তে হাতে ধান কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে ছিল
গেঞ্জি ছিঁড়ে আঙুল বেঁধে তারপরেও কাজ করেছিল পুরো সময় ধরে
চায়ের দোকানে গ্লাস ভেঙে মাইনের দশটাকা থেকে একটাকা
কম পেয়েছিল, কোনটাই তার কাছে সুখের ছিলনা, দুঃখও পায়নি
তার কিশোর কাল জেনে ফেলেছিল, এটাই ব্যবস্থা, লড়তে হবে
বেঁচে থাকতে হবে, ভিক্ষা করেনি, চোখের জল ফ্যালেনি
কঠিন প্রত্যয়ে একটা একটা ধাপ ভেঙেছিল, জীবনকে জানতে জানতে
সে মহাপুরুষ হতে পারেনি, কিন্তু মেরুদণ্ডের উপর ভরসা রেখেছে
আপোষহীন মূল্যবোধে দুস্তর পথ পেরিয়ে, মানুষের ভিড়ে মানুষ খুঁজছে।


জানেনা সে, আজকের সমাজ ব্যবস্থায় অচল কিনা, তবুও সে সুখী
তার চেতনায় বুঝেছিল সবকিছু সকলের নয়, সাধারন শিক্ষায় বিশ্বাসী
সুখ আসবে যাবে, দুঃখ বিলাসী যাপনেই বা কি লাভ, লড়াই কি থামবে
ইচ্ছার মৃত্যু কি এগিয়ে দেয় না ! প্রকৃত মৃত্যুর- অসীম অন্ধকারের দিকে।


সোনারপুর
১৩.০৯.২০১৯