সৃষ্টির স্বপ্নে বর্ণিল সে রাতে অপেক্ষায় ছিলাম
মৃত জমিনে নতুন জীবনের -প্রাণবীজের অন্কুরোদগমের
তুমি এসেছিলে শেষ প্রহরে
গভীর স্পর্শে রুয়েছিলে স্বপ্ন প্রাণ--


বিহ্বলতা মুগ্ধতা আর আবেশে -যুগান্তের ওপার।
মুক্তি চেয়েছিলাম তোমার ছোঁয়ায়
অপবাদে কলংকিত হলাম-অন্তহীন।


আমি কাঁদলেই তোমার অস্থিরতা বেড়ে যায়
জেনে, কষ্টকে গিলে খাই- কান্না ভুলে
সাত সাগরের ওপারে তুমিই সূখে থাকো-


তুমি এলে-
ভরা পূর্নিমায়
আত্মায়-দেহের পরিপূর্ণতায় মিশে গেলে-
স্বপ্ন আর বাস্তবতার ব্যবধান ঘুচিয়ে- তোমার ঘ্রান,
এলো চূলের ঘন গহীনে বুঁদ করে..


দিনপঞ্জি মিলিয়ে পৃথিবী জেনেছিল-
সেদিনই তুমি ফিরেছিলে; আমার উদ্যানে
তোমার এতই টান-তবে হারালে কেন?


সবাই দেখে- চোখ মেললেই কি দেখা হয়
অথচ তুমি জানো আমি জানি
পায়ে পায়ে না হেঁটেও চলেছি পাশাপাশি,
স্পর্শ না করেও ছুঁয়ে আছি তোমাকে
নিত্য স্মরণে তুমি মিশে থাকো


এ জনমে পারো কিনা পারো আর জনমে-
-শুধু একবার চোখের দেখা,
ছুঁয়ে দেখা, তবুও হোক-
কিছু বলার ছিল,কিছু মিনতি ছিল,
ছিল কিছু একান্তকথা চোখে রেখে চোখ !!


ছিড়ে মোহ বাঁধন চলে এসো
শান বাধানো প্রাসাদ পাবেনা সত্যি-
হৃদয় প্রাসাদের সূখ- তোমার জন্যে তুলে রেখেছি
ঐ বিলাস ব্যাসনে কৃত্রিমতায় বিস্বাদ হলে চলে এসো-
তোমার জন্য-পাতার কুটিরে
আজো অপেক্ষায়- একবুক ভালবাসা নিয়ে।