আমরা স্বাধীন রোজ বিকেলে চায়ের কাপে আড্ডা জুড়ে।
আমরা স্বাধীন রূপকথা’তে। বাস্তবতা পুড়ছে ঘরে।
আমরা তো রোজ স্বাধীন ভাবেই ধর্ষণে’তে মন ভেঙে রই
রোজ সকালে কাগজ দেখে , বুদ্ধিজীবী’র প্রেম কথা কই


আমরা স্বাধীন অঙ্ক খাতায়। হিসেব গুলি নাইবা মেলে।
আমারা স্বাধীন শব্দ নিয়ে। রক্ত মাখাই গাছে’র ডালে ।।
আমরা পুড়ি স্বাধীন দেশে। লাল-নীল আর হলুদ আঁচে।
আমার স্বাধীন কলম খানি প্রেসমেকারে’ই রইল বেঁচে।।


ডিজেল যখন স্বাধীন ভাবে দিচ্ছে মহা আকাশ পাড়ি।
তখন তুমি বুঝে নিও স্বাধীন দেশে’ই তোমার বাড়ি।।
আলু-বেগুন-পটল-মুলোর স্বাধীন ভাবে দাম বেড়েছে।
আর, স্বাধীন কৃষক দেনার দায়ে স্বাধীন দেশে প্রাণ দিয়েছে!


এসব কথা, স্বাধীন দেশে’র প্রেসমেকারে’র কলম’ই জানে।
রক্ত মাখা বরফ নিয়ে শ্রান্ত সাঁজে বারুদ ঘ্রাণে।।
বাহাত্তরের দেশে’র বুকে স্বাধীন পথের ধুলায় শিশু।
স্বাধীন দেশে’র মানুষ দেখে কষ্টে থাকে কৃষ্ণ –যীশু।।


স্বাধীন কোনও প্রেসমেকারেই দেশ চলেছে রাজার রঙে।
প্রেসমেকারের কলম খানি স্বাদহীন কথা লিখল ঢঙে-
সব গুলিকে মুছরে ফেলে স্বাধীন গানে’ই প্রেম ঢেলে দাও।
বাহাত্তরের স্বাদহীন দেশে স্বাধীনতার বার্তা পাঠাও।।
                                রচনাঃ ১৫-০৮-২০১৮(লেনিনগড়)