আজি এ প্রভাত ফুলের সওগাত কেমনে করিবে দ্বারে?
ধরণী ছুঁয়েছে ব্যধির কানন ভয় মাখা প্রস্তরে।।
প্রাণ ধুয়ে যায় মৃত্যুর বারি ।
স্তব্ধ ধর্ম, মূক তরবারি।।
একাকী সময় মৃত্যুর ভয় জীবন খুঁজিছে হায়।
রঙ মাখামাখি, রাজা দের ডাক্‌ মৃত্যু ডেকেছে আয়।।
আজি ধরণীর কপালে জ্বলিছে মৃত্যুর দাবানল।
রাম রহিমের মরন জমিনে কে দেবে সেচের জল?
মাটি ছেয়ে আছে ভয় মাখা রোদ।
কোথা গেল সব জমা প্রতিশোধ?
লাশ শুয়ে আছে, রথ ভেঙে গেছে জীবন পুরীর দেশে।
বন্দীদশায় মেঘাতুর স্মৃতি প্রেমের প্রয়াণে হাসে।।
কে যাচিবে হায়, ফুলশয্যায় প্রেমিকার শেষ চুমা?
মৃত্যুর বাণে অন্তিম গানে প্রেমিক’রা আজি ঘুমা’য়।।
শত দাবানলে পুড়িছে স্মৃতিরা।
ভস্মে জমিছে মন সহদরা।।
কে’বা দেবে হায়, বাঁচার উপায় এই রণ প্রান্তরে?
বাঁধা থাক মন, দেশের শাসন, বন্দীর অন্তরে।।


কোথা গেলো গীতা, মনুসংহিতা, কোথা গেলো রাম নাম?
কোথা হতে আসি আল্লার বাণী, কোথা সে প্রেমিক শ্যাম?
কোরান ছুঁয়ে কি বেঁচে থাকা যায়?
গীতার ছন্দে প্রাণ ফিরে পায়?
মৃত্যুর কোলে সব রাজা ঢলে বাঁচাবে কে আজ প্রাণ?
মনে লেগে থাক গীতার ছন্দ বাইরেতে শাহজাহান।।


কবিরাণী কয় চুপ থাকা দায় কেমনে কবিরে বাঁধি?
ধর্মের নামে বেঁচে আছে, সব বৈদ্যরা সাংসদ’ই।।
বাঁধা ঘরে থাকা একুশের দেশ।
কবে হবে শেষ এই সমাবেশ?
হৃদয় যাচিছে তোমার কবিতা, আঁখি মাগে তব দেখা ।
এই খেলা মাঝে তোমা বিনা আমি  মরু ঝড়ে যেন একা।।
আমি কই ওগো শোনো কবিরাণী বিরহের কিছুদিন।
ফেরা হবে সেই ফেলে আসা পথে, জমে আছে শত ঋণ।।
গৃহ বন্দীরা ঘর ফিরে পাবে।
সুখি হবে সব পাখি কলরবে।।
বন্দীর ঘরে ,আত্মগোচরে বেঁধে রাখ প্রেম আঁখি।
জড়াবে হৃদয়, প্রাণের প্রনয়, মৃত্যুর মুখ ঢাকি।।  
                                                                                       রচনাঃ ২৬-০৩-২০২০ (লেনিনগড়)