ফাগুন মাসের শেষ সকালে এসেছিলে তুমি।
রাত্রি তখন হারিয়ে গেছে,একলা বসে আমি।।
           বসন্তে ভেজা কোকিল গুলি,
            পাঠিয়েছিলো গানের বুলি।
তোমার ভালোবাসার দেওয়া, দিয়েছি সুর ঢেলে।
উঠলো বেজে মধুর সে গান, যখন তুমি এলে।।


ফুলের কলি উঠলো তখন মধু মাখা মুখে।
মধুকরেরা আসলো ছুটে, ফুলের মধু দেখে।।
          কোথায় তখন নিঃস্বতা আর,
         ব্যার্থতা আর কোথায় আমার?
প্রেমের ডোরে বেঁধেছিলাম মনকে মায়াজালে।
উঠলো বেজে মধুর সে গান যখন তুমি এলে।।


নদীর জলে প্রাণী জগৎ,উঠলো নেচে সাথে।
যখন তোমার প্রেমের সে হাত রাখলে আমার হাতে।।
           রাতের কালো কেটে গেলো,
           নতুন রঙও আকাশ নিলো।
উঠলো জেগে সূর্য সকাল তোমার ও কপালে।
উঠলো বেজে মধুর সে গান, যখন তুমি এলে।।


শাল-পিয়াল আর আমলকী বন স্নিগ্ধ বাতাস দিলো।
সদ্যজাত হরিণ তোমার ভালোবাসা নিলো।।
             আমি তখন কতই দূরে,
            তোমার থেকে যাচ্ছি সরে।
ধরল ভাঙন, গেলো কেটে প্রেমের মায়াজালে।
আমায় ছেড়ে যেদিন তুমি অন্য পথে গেলে।।


নদীর তটে দেখা দিলো দুঃখ ঢেউয়ের দোলা।
ভাঙ্গল আসর, তিক্ত বাসর, মউ-মাছিদের মেলা।।
           হরিণ তখন দেখায় আশা,
          ভুললে আমার ভালোবাসা।
ফাটলও রৌদ্রে ভূমির বক্ষ, আমায় যে কাঁদালে।
আমায় ছেড়ে যেদিন তুমি অন্য পথে গেলে।।
আসছে না আর ফাগুন হাওয়া, আগের মতন করে।
আজকে ফাগুন, বাসতে ভালো, সত্যিকারের ডরে।।
          নিঝুম রাতি, চাঁদ উঠেছে...
       ভোর নেই আজ মন ভেঙেছে।
হরিৎ’ পথের নতুন পাখি বসলো অন্য ডালে।
আমায় ছেড়ে যেদিন তুমি অন্য পথে গেলে।।



রচনা-২১/০২/২০১২ (লেনিনগড়, কলকাতা- ১১০)