মোর, স্বাধীনতার ঘ্রান নিয়ে সব উতলে পড়ি মনে।
সাজাই, মিথ্যে কিছু কাব্য লিখন স্বাধীনতার গানে।।
যে দেশেতে ধর্ষিত হয় প্রত্যহ কোনও নারী।
দেখি, সেই দেশেরই রাজপথে যায় স্বাধীনতার গাড়ি।।
মোরা, স্বাধীন বলে মুখ উঁচিয়ে বিশ্ব দেউল পরে।
যায়, মুখ ফিরিয়ে দেশের রাজা স্বাধীন অহংকারে।।
যেথা, জীর্ণবস্ত্র, ধুলায় মাখা, শিশুশ্রম হয় শিল্প।
সে দেশেতে স্বাধীনতা বাস্তবেও গল্প।।
মোর, সেই দেশেরই মানুষ যেথা পরাধীনতার গন্ধ নাই।
বিচারকের আসনে সব মিথ্যে আলোয় দেশ সাজাই।।
মোরা, রঙিন আলো মাখলে গায়ে, স্বাধীন সুরে বাঁধি গান।
দেখাই, বৃক্ষ রোপণ দেশের লাগি, মৃত্যু সুরে শত প্রান।।
মোরা, রক্তদানে ব্যস্ত সেবক, রক্ত মেখে ফোটাই ফুল।
যারা, কর্মরত দেশের কাজে ধরতে ব্যস্ত তাদের ভুল।।
মোরা, সেই দেশেরই মানুষ যেথা শিক্ষিত সব বেকার রয়।
অশিক্ষিত দেশের লাগি মিথ্যে প্রেমের গান শোনায়।।
দেখি, পথের পাশে মুকুল ঝড়ে, সদ্যজাত আগামীর।
আর, আমরা বলি স্বাধীন সমাজ, কান্না শুনে হই বধির।।
যেথা, কাশ্মীর আজও রক্তে ভাসে, সন্ত্রাসীদের শহীদ কয়।
আর, সন্ত্রাসীদের মৃত্যু নিয়ে কোলকাতাতে বিরোধ হয়।।
যেথা, শিক্ষা কেবল পণ্য সেজে রুদ্ধ করে ভবিষ্যৎ।
সেথা, কেমনে হবে স্বাধীন মানুষ, কেমনে গড়বে সুদূর পথ?
মোরা, স্বাধীন সাজে সাজাই মোদের, মনের ভাষা পরাধীন।
দেখাই, প্রলেপ দেওয়া কাব্য লিখন, কলম যেন অন্তহীন।।
জানি, আজ সে সুভাষ থাকত যদি, বুঝত এদেশ কি স্বাধীন।
হয়তো, পরাধীনতার গন্ধ না থাক, তবুও যেন দেশ স্বাদহীন।।
রচনা ২০-০৭-২০১৬( লেনিনগড়)