বৃষ্টি নামে আমার দেশে, স্বাধীন ভাবে, সাধ হীন ক্ষণে
আমার দেশের স্বাধীনতা, বেঁচে আছে শুধুই গানে।।
ভুল বলেছি ? ক্ষমার পোশাক, জড়িয়ে নিলাম আমার গায়ে।
স্বাধীন ভাবে মিথ্যে ক্ষমায়, মাথা নোয়াই সমাজ পায়ে।।
সত্যি! আমার স্বাধীন দেশে ,শিক্ষা আসে স্বাধীন ভাবে।
রাস্তা জুড়ে স্বাধীন ধুলায়, পথের শিশু মা’র অভাবে-
স্বাধীন ভাবে কাঁদতে পারে। খাবার খোঁজে স্বাধীন পথে।
স্বাধীন বাবু দয়া করে, চার আনা দেন শিশুর হাতে।।
এবার বুঝি ঠিক বলেছি? ভুল কিছু কে প্রলেপ দিয়ে।
তবে আমার স্বাধীন কলম , ফিরবে এবার নোবেল নিয়ে?
আমার স্বাধীন দেশে,আবার নোবেল চোরে ঘর ভরেছে।
স্বাধীন ভাবে চোরেরা সব সমাজ জুড়ে ভর করেছে।।
আমার দেশের স্বাধীন মানুষ বিপ্লবী হয় ধর্ষণেতে।
বিপ্লবী হয় রঙের ছোঁয়ায় বিপ্লবী হয় ধর্মঘটে।।
স্বাধীনতার একাত্তরে চায়ের কাপে রক্ত লাগে।
রক্ত ঝরে পাহাড় থেকে রক্ত লাগে প্রেমের ফাগে।।
যে স্বাধীনতায় গান্ধী সুভাষ রক্ত দিলেন স্বার্থ ভুলে।
সে স্বাধীনতা চুরি গিয়ে দেশ ঢলেছে অস্তাচলে।।
পরাধীনতার দু শো বছর ইতিহাসের পাতায় জমে।
আর স্বাধীনতার একাত্তরে স্বাধীন ভাষা যাচ্ছে কমে।।
এই স্বাধীন দেশে গান্ধী-সুভাষ বন্দী ছবির কারাগারে।
ফিরে এসো তুমি কিশলয়ে,ফিরে এসো এই একাত্তরে…
রচনাঃ ১৫/০৮/২০১৭(লেনিনগড়)