রূপশা নদীর চরের সেই ডাহুক পাখিটি
হাজার রেখাচিত্র অঙ্কিত যার দুই ডানায়।
তাহার রূপে মুগ্ধ হয়ে আমি বারেবারে
রূপশা চরে গিয়েছিলাম হাজার বাহানায়।


আমার প্রতিটি আগমনে, শাপলার গন্ধে ভরা জলে
খেলে চলা অযুত নিযুত ডাহুক পাখিরা
তাহার নেতৃত্বে জানায় অভিবাদন, ডানা খুলে,
ঠোঁট নেড়ে ,ডুপ মেরে ,গা দিয়ে ঝাড়া।


সেদিনও তপ্ত রোদের তোড়ে কেওড়ার ছায়ায় বসে
আমি দেখেছিলাম পানকৌড়ি আর সাদা বক।
শুনেছিলাম বালি হাঁসের কিচির মিচির
বারবার দৃষ্টিতে আসছিল পাখি সেই ডাহুক।


আরো দুটো শরৎ শেষের পরে
রূপশার চরে পৌঁছেছিলাম সেই ডাহুকের টানে
রামপালের ছাই ভষ্মে রূপশা মৃত্যুপুরি তখন
ডাহুকের লাশটা ভাসছিল নদীর উজানে।


ডাহুকের এই মৃত্যুটা কেবলই কি একটা মৃত্যু
নয় কি কোন পরিকল্পিত, নিষ্ঠুর খুন?
উজানের জলে ভেসে চলা রামপালের ছাই
প্রশ্নের উত্তর বলছিলো নিদারুণ।