ছোট ঘরে মিষ্টি শিশু, চাঁদ হয়ে যেন এসে।
আলোয় ঘর ভরিয়ে দিলো, ফোকলা মুখে হেসে।


ভাই, বোন, মা, বাবা বলে, শিশুটি যারেই ডাকে।
সেই তারে কোলে তুলে , চুমো মুখে আঁকে।


ছোট্ট শিশু হবে বড় , ভেবে তাহার মা।
মানিক ধন তার আগলে রাখে, সয়ে হাজার ঘা।


বাবু সোনা, বাবু রুপো , বাবু মানিক ধন।
হাজার নামে ডাকে সবাই, জিততে তাহার মন।


আরো একটা শিশু যখন একলা পথের পাশে।
কোন ঘর হয়নাকো আলো যখন সে হাসে।


ভাই, বোন ,মা ,বাবা বলে, শিশুটি যারেই ধরে।
ছাড়িয়ে হাত, সেই করে বেহাত , শাসায় বারে বারে।


কোনো মাই ভাবেনা , সে হবে একদিন বড়।
তার তরে কেউ সহেনা কিছু,আঘাত দেয় যে আরো।


সোনা রূপা যাই বলো, কোন নাম তার নাই।
সভ্য ধরায় তবু্‌ও তার নাম হয়েছে টোকাই।



সোনার খাঁচায় স্বাধীনতা


ও পাখি তুমি পাখার তলে
চঞ্চু কেন রাখো।
চাঁদ উঠলে ফুল ফুটলে
গোমরা মুখে থাকো
সোনার খাচায় রূপোর থালায়
দিচ্ছি বাহারি খাবার
তবুও সুরের মূর্ছনা তুমি
তুলছোনা যে আর।


সহস্র অযুত উঠোন ভরা
বাসাত যদিও নাই
তবুও সোনার দামি খাচায়
নেইতো অভাব ভাই।
তাইতো বলি ও গানের পাখি
ওঠাও কন্ঠে সুর
তোমার গানে হবে যে আজ
মোর স্বপ্ন সুমধুর।


শুনে পাখি ক্রুর হেসে
সুধাইলো যে মোরে
খোলা আকাশ চাইতো "আমার
উড়িবার তরে।
কেমন করে খুলব পাখা
তুলবো কন্ঠে সুর
সোনার খাচয় স্বাধীনতা
যদি আটকে রাখো দুর।



ঢাকা
২৬ মে
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত