একটা নিসর্গ নিঝুম রাত্রি পেলে ভাড়া নিতাম খদ্দেরমূল্যে
তিরিশঠ্যাঙি ক্লান্তিগুলো তুলে দিতাম তার হাতে
ঘুটঘুটে কেশে ঝুপটি মেরে ঝিঁঝিঁলয়ে এ্যালানো সংগীত গলায় প্যাঁচিয়ে
অস্ত যেতো নাগরাবিকেল এবং একটা কলমের খোলা মগজ--


কতোকাল কেটেছে পাহারায় হাওড়ের ক্ষেতের ধারে
জেগে জেগে পায়চারি করেছি মৎস্যচারা চুরি হবার ভয়ে
একেমন সৌজন্যবোধ! একদল শাঁখারিহাত মুচড়ে খায়
আমার শ্রমচাষ বারুদভাজা গর্জন আছড়ে পড়ে মাথার উপর
মগজ মাড়ায় করে খাঁজে খাঁজে বুনে সুতোকাঁটার বীজ
আমি নির্ঘুম, দিনরাত্রি মিশেল প্রাণী এক--
অনেক বছর পর স্বপ্নহীন ঘুম ভাঙবে অচেনা হিলের শব্দে
চোখ মেলতেই দেখবো একটা অচেনা সকাল
অচেনা রোদ্দুর
অচেনা বৃক্ষরঙ
আমিও অচেনা।


(এই কবিতাটি অনন্যা প্রকাশনি থেকে ‘‘বিন্দুবন্দি লাটিম” কাব্যগন্থে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ এর বই মেলায়)