বরষা এলেই মনটা হয়ে যায় রোবটমগজ
জানালার গ্রিল ধরে ঘড়িচোখে চেয়ে রই
আর ভাবতে থাকি আকাশলতি জীবন পৃথিবীর করাতছাদ...


একদিন আকাশটা শর্ষেমণিতে ভরা ছিলো
পারদমেঘের ঘুড়ি উড়তো আকাশের নীলসিঁড়ি ঘেঁষে
লাটাই ছিলো চাঁদরানির হাতে
ডুবন্ত  সূর্যের সিঁদুর পরতো সিঁথিতে বিলিকেটে
অথচ সৌরবাড়ির আচরণ দেখে মনেই হচ্ছে না যে
ক’দিন আগে ধোঁয়াটে পোষাক ছিলো না শরীরে--


এক জোড়া শালিক উড়ে গেলো আকাশের নরম পিঠ আঁচড়িয়ে
বরষার স্রোতহীন উঠোন তখনো ছিলো অপিচ্ছিল খটখটে
কেবলই সাপদড়ির হারবন্ধনী লতিয়ে যায় ধূসর হিমালয়ে
মরুবুকে কোনো চিহ্ন রাখেনি লোনাঝড়ে--
কিন্তু রক্তক্ষরণ ছুটে চলে ছুরিপথে
চোখ তবু ঢেকুর তোলে রুচিও বাড়ে সমপরিমাণে--


জলপরিরা কোরাসে মেতেছে মদেলামগে-- দিগন্তের সিঁড়ি ভেঙে সে কী উচ্ছ্বাস!
নাকি মরুর ক্ষতে ¯স্নেহশোধের বরফপ্রলেপ? শালিকহৃদয় জেনে গেছে
গর্ভবৃন্ত আর উইপোকাতে কোনো ফারাক নেই-- জানলে কী হবে
ঝরে পড়া সোনালি পালকগুলো তো ফেরত দেবে না
যেমন চোখ থেকে ঝরে পড়ে স্তনকোলে তোমার আমার পালক।  


(এই কবিতাটি অনন্যা প্রকাশনী থেকে ‘‘বিন্দুবন্দি লাটিম” কাব্যগন্থে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ এর বই মেলায়)