আবেগবিহীন ভালোবাসা
          বিপ্লব দাস


এখন ভালোবাসাগুলো কেমন জানি আবেগবিহীন ।
তুমি ভালোবাসা দেবার জন্য প্রস্তুত,
ভেঙেচুরে সমস্ত দরজা খুলে বসে আছো।
তোমার মধ্যে মায়া মায়াময়।
তবে নেবার কাঙালি মানুষ নেই....


সেই সব মানুষগুলো কোনদিন গীতবিতানের একটিও পংক্তিতে ঝুলে পড়েনি,
বা জীবনানন্দ দাশের সবুজ ঘাসের শাড়িতে শুয়ে পড়েনি,
বা গভীর মননে অতিপরিচিত নিমাই ভট্টাচার্যের "মেমসাহেব" পড়েনি
ধৈর্য নিঃশব্দে রাখা যায় খুব সহজে,
তবে কেউ রাখতে পারেনি।
নেবার তাড়নায় তাদের মনে অবাধ্য আগুন।
এমন বিষাদ গানে ছেয়ে গেছে শহরের প্রতিটি পাতা।


সেসব মানুষের ভালবাসার শাখা-প্রশাখা কবরে বন্দী ।
তবু দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলি– "মানুষ বড়ই অভিমানী প্রাণী"
এ শব কথা বলে,
শুধু আমরা নিখুঁত ভাবে মিথ্যে আবেগগুলো ছড়ায়,
অর্থহীন যন্ত্রণার অশ্রুবৃষ্টি ঝড়ায় ।
এসবের মানে নেই, এসব কথা বলে আপস করা মানুষ।


না হলে বারংবার বলে– "আমায় কেউ ভালোবাসে না, ভালোবাসা দেয় না"
একি শুধু দেবার জিনিস?
নেবারও তো অধিকার  ফলাতে হয়।  
নিঃস্বার্থভাবে পাখিটিকে  ছাড়তে জানতে হয় উন্মুক্ত আকাশে।
ভালোবাসার সড়ক খুঁজতে হয় প্রকাশ্যহীন মনের বিজ্ঞপ্তিতে।
নির্বাকে রাত দিন এক করে।


এখন ভালোবাসাগুলো কেমন জানি আবেগবিহীন, অনুভূতিহীন।
মাথা উঁচু করে তাকালেই আকাশের দিকে আকাশ বলে ওঠে– তুমি ভুল করছো, পুড়িয়ে  দিচ্ছো আবেগ, অনুভূতিগুলো তোমার মনেরই নিকোটিনে।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২০/০৭/২০২২