"অভিমানের হুইসেল"
       বিপ্লব দাস


আজীবন মনে হয় তোমাকে প্রিয়তমা বলে ডাকি,
শরীর ঠিক আছে কি না শুনি?
মধ্যরাতে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে– তুমি কেমন আছো?
মন বিষন্ন হলে আমায় জানিও।
বলতে ইচ্ছে করে প্রেমিকার চোখের থেকেও তোমার চোখ দুটো নেশাতুর


তোমার শরীরে কচুরিপানা শাড়ির শিল্পী সৌন্দর্যে আমার মন পাখি আহত হয়ে যায় তোমার অলিগলি ।
মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে–তোমার নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে না তো ,
এও জানতে ইচ্ছে করে– তোমার হৃদয়ে গোলাপ ছাড়া লাগাতে গিয়ে,
তোমার নাভি ক্ষতবিক্ষত করছে না তো ।


এসব আর জানতে ইচ্ছে করে না
তুমি আমার প্রিয়তমা নও
তুমি বালু বালু কারখানা,
যা হৃদয়ে চাপা দিয়ে রাখি যন্ত্রণা ।
পাখি হতে চায় না আর মন তোমার হৃদয়ে ।
অজস্রবার ভালোবাসার গান শোনাতে এসেছিলাম তোমার ঘাটে,
তবে তোমার অভ্যন্তরে জুয়ার আসর বসে,
মিথ্যে মিথ্যে ফুল ফোটে অবিরত।
বড় বড় ফ্লাট বাড়ি তোমায় গ্রাস করে ফেলছে,
হে প্রিয়তম বালুরঘাট মনে হয় বেশ কিছু মানুষের আজ তুমি পৈতিক সম্পত্তি
তোমাকে রেখে দেয় তারা বুক পকেটে।


আমার পৌরুষের কুসুমিত  মায়া বোঝে শুধু আমার প্রিয়তমা।
সে আজও শুভ্র, শুদ্ধ জীবন্ত জ্যোৎস্না ।
আর তোমাকে দাবি করা তোমার কুঞ্জে  বাবুদের সিগারেটের ধোঁয়া,
যা আমার মনপাখিকে উড়তে দেয় না...


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৭/০৮/২০২২