আমাদের জখম
       বিপ্লব দাস


কাউকে বলব না আমার জখম, আমাদের অশ্রুত ব্যথা–
রাস্তা আমাদের কাঁটা গাছের পৃষ্ঠা,
পাদুকা ধূলিও পাপী, ভাবে উদ্বাস্তু।
পেঁপে গাছের ন্যায় বিভীষিকা, তলোয়ার দিয়ে নামিয়ে দেবে আমাদের মুন্ডু।
মেরুদণ্ডহীন মৈত্রী মেয়েলী হলফ, হলাহল স্নায়ু।
এই গ্রামের বিজলী বাতি আমাদের আলো দেবে না
                 দুই যুগ ধরে বাষ্পীভূত হয়েছে আমাদের  স্নানের শরীর ,
তবুও বাসরশয্যা সাজিয়েছে বৈপরীত্য ভিনদেশিদের জন্য,
                      সঙ্গে এনেও দেবে সঙ্গিনী।
বারুদ নিয়ে বারোয়ারি প্রস্তুত তাদের জন্য, এই  মুমূর্ষ বিছানা পোড়াতে,
মুহূর্তেই একত্রিত, মদ মাংস লোভে।


পায়রার মত নোটন নোটন করে বেঁচেছে আমাদের জীবন..........


আমার মায়ের চোখের জল–
মেশেনি বৃষ্টি কাদার সঙ্গে
সন্ধ্যাঘনা ছবি  এঁকেছে একদিন হবে তাদের হরিবল।


সময়ের দেওয়ালে আমরাই হর–নুট শিকারি বাতাসা,
তরক্ষু ভিনদেশী আমার মা-বোনের স্তনে উদগ্রীব আঁচর–
সঙ্গে আমাদের গাভীর লুটেছে রক্ত।
তবুও নিশ্চুপ ছিল এই বিষময় সমাজ।


সুন্দরের অবেলায় খুঁজি দুমুঠো খাবারের ডাস্টবিন
                          সঙ্গে ঈশ্বরের নাম
হয়তো আমরাই অন্য দেশ থেকে আগত' কুত্তা'।
তোমরা মদ মাংসের জন্য উসখুস নিষ্ঠুরতা, খুনের লালসা,
নিরীহ কুত্তাদের শরীর থেকে রক্ত ঝরানো আকুল চেষ্টা।


তোমরা মহাপ্রভু, তোমরাই ভগবান–
প্রভু বললে–" বাংলাদের জোর দেখিয়ে দেব"
পুলিশ  কি ছিঁড়বে আমাদের?
নিয়ে মরবই এক জনাকে।
আমি ভাবি কে কাকে বাঁচায়?
কি বাঁচি?
চোখমুখে রক্ত ঢিবি, তেরে খাবে এক্ষুনি–
নির্জলা উপোস পেট,
টস টস করে কপালে ব্যথা
মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে তারাই সমাজে রাজা।
মানসিক আজ রুটির মতো ছেঁড়াফাটা
পুলিশ কর্তা দেখে গেল রঙ্গ তামাশা
তবু জমকালো অবস্থা।


হাই, পৃথিবী আমাদের পৃথিবীতে কেন এত মেঘলা?
মিথ্যের ছায়ার, ছাইগুচ্ছ একদিন বৃষ্টিতে যাবে ধুঁয়ে,
তার জন্য কোন  দুঃখের বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গানোর প্রয়োজন নেই।


মেরে যাক, খেয়ে যাক, পায়ে ডলে যাক, কেঁটে যাক,ছিঁড়ে যাক...
তবুও মস্তক ভূমিতটে  নোয়াব না।।
কাউকে বলবো না আমার জখম, আমাদের অশ্রুত ব্যথা–
হাঁড়িতে আজ তুলে দিয়েছি তোদের কিছুটা জ্বলন্ত শব্দ–অক্ষর
গিলবো– গোগ্রাসে।
আর যারা এসেছে মিথ্যুক,  নষ্ট ভ্রষ্ট, দুশ্চরিত্র সহচরী–
আমাদের জল তরঙ্গের স্রোতে
তাদেরও প্রাণটুকু  উড়বে আগুনের আঁকাবাঁকা মুখে।


রচনা–বিপ্লব দাস
২৪জুলাই ২০১৯
দুপুর১টা৪০