অন্ধকার জলের  গ্লাসে
                   বিপ্লব দাস


কবি হওয়ার স্বপ্ন  দেখি না আমি।
এ সমাজের মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে
যে নির্লজ্জ স্বপ্ন–কবি হওয়ার।
তা আমি কবি হওয়ার স্বপ্ন দেখিনা।
কবিতা আমি তোমার কলঙ্ক– প্রদীপ
যে প্রদীপের তেল নেই–
                    আছে শুধু বিন্দু বিন্দু চোখের জল।
যে দুঃখের স্রোত বইয়ে দিয়ে তোমার শরীরে,
অদৃশ্য কবি হিসেবে।।
করেছি তোমায় গর্ভবতী
প্রসব যন্ত্রণার দিয়েছি কাতর চিৎকার।
বারংবার ভুল পথে, অন্ধকার শব্দ তরঙ্গে
                                    রাখি তোমায় গচ্ছিত।
এ কি আমার সক্ষম এর পরিচয়?
তবে কি তোমার সঙ্গে অবৈধ প্রণয়?


তবুও ক্ষত বিক্ষত আঘাতে
                    যে রঙ ফুটে ওঠে
প্রায় অস্পষ্ট তুচ্ছ অঙ্কুর,
পৃথিবীর লুণ্ঠনকারী এসে তোমায় করে লুণ্ঠন
শুরু হয় বিক্ষিপ্ত আন্দোলন।


ক্ষত বিক্ষত শরীরের সুবাস
তবুও বড্ড ভালো লাগে
শুরু হয় তোমার শরীরে ধর্ষণ আর ধর্ষণ।।
সেই কিছু নির্লজ্জ কবি,
রঙ্গমঞ্চে উঠে পুরষ্কারের লোভে।


সেই জীর্ণ পতাকায় আজও কলঙ্ক
তাদের রক্তমাখা হাতের সুবাস
                            ওরে না বাতাসে।।
আজ তাই তারাই এ সমাজের নামিদামি সর্বশ্রেষ্ঠ
                                       আজও তারা অটল।


বাষ্পীয় যন্ত্রণায় আজ আমি উদাসীন
অন্ধকারে মৃত সম্পূর্ণ
জানি তোমারি ক্ষুদ্র নবাগত
                 বুঝি তোমারই কষ্ট।
তবু কবি হওয়ার স্বপ্ন দেখি না আমি।
তোমায় নিয়ে আছে শুধু যন্ত্রনা,
                নেই দাঁড়ি, কমা, মাত্রা।
যন্ত্রণাগ্রস্থ শরীর ভাসেনা নদীর স্রোতে,
ভাসো তুমি নির্লজ্জ কবিদের অন্ধকার জলের  গ্লাসে।
কবিতা– কবি হওয়ার স্বপ্ন দেখি না  আর
                 আজীবন তোমার সম্মুখে।।


            রচনা – বিপ্লব দাস
      ৪ আগস্ট ২০১৮