"ডুবে ডুবে জীবন"
বিপ্লব দাস
যেদিকে যাচ্ছি ডুবে ডুবে যাচ্ছি সূর্যাস্তের মত।
মন প্রতি মুহুর্ত একাকীত্বের আগুনে জ্বলছে।
কিছুক্ষন না...
প্রতি মুহুর্ত শহরের কংক্রিট রাস্তায় পড়ে থাকা কাগজের মত শূন্য লাগছে।
তুমি আমার সেই কবিতা,
যা আমার রক্তে ঢেলে দিয়েছো বেঁচে থাকার মুগ্ধতা।
তোমাকে ভুলে থাকার মত কোনো শেষ কম্পন সৃষ্টি হয়নি,
বেঁচে থাকার জন্য কারুকার্যহীন একটি "তুমি প্রাসাদ" হৃদয়ে এঁটে আছে,
যাকে আমি সময়ের নকশী কাঁথায় সাজাতে সাজাতে ভালো থাকি, খুব ভালো থাকি।
আমার প্রতিটি সকাল কিনে নাও তুমি...
খুশিবিদ্ধ খুচরো পয়সায় ।
জীবনের প্রতিটি গন্তব্যে তোমার গন্ধ।
তুমি ছাড়া লাপাতা ট্রেনের মত ছুটছি,
কেউ জিজ্ঞেস করেনা আমি খেয়েছি কি না?
আমার শরীর খারাপ কি না?
মন ভালো আছে কি না?
কখনো শুনিনি এমন বিশুদ্ধ হৃদপিন্ডের ক্রন্দন কারো।
তুমি ছাড়া স্বস্তি বিবর্ণ....
তোমাকে করতলে সর্ষে দানার মত রেখে দিয়েছি যত্নে।।
জানি না কবে তুমি ঈশ্বর দর্শন শেষে আসবে।
আর কত দিন এমন অপেক্ষা ...
আমার জীবন বুঝি ডুবে যাবে নীরব কোনো ঝোপে।।
আমাদের শুভ্রময় ভালোবাসা
তোমার চোখে ফুটে উঠে কাজল স্বাক্ষরে।
জানো, আমি ছেড়ে দিয়েছি সিগারেট খাওয়া।
বন্ধুরাও সাধলেও একটি বাক্য খরচ করি না।
নেশার থেকেও তোমাকে না দেখতে পাওয়ার নেশা আকাশচুম্বী,
আমার অস্থিরতায় শহরটাও বুঝি করে নেবে আত্মহত্যা।
জানি তুমি খুব অবাক হবে...
তুমি ফিরে এলেই আমি লন্ডভন্ড হব তোমার হৃদয়ে।।
ডুবে ডুবে যাচ্ছি জীবনে একাকী বৃষ্টি অসুখে।
তুমি কেন শিমুল তুলো হয়ে ছড়িয়ে গেলে?
এক বার্ধক্য পাখি আসে বলে যায়–
"তুমি তো পেয়েছ শুভ্র কবিতময় জীবন
যেন সবুজ তুলি তে আঁকা,
একেকটা ফড়িং আফসোস করে– ভালোবাসার শব্দগুলো কেন দাবানল হলো না,
প্রেম কেন হলো জীবনে??
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১২/০৮/২০২২
(সময়–রাত ১১টা ২০)