দুর্ভিক্ষ দুরারোগ্য
       বিপ্লব দাস


আমি আর ভালোবাসা চাইবো না।
তুমি যে ভালবাসা
না পাওয়ার উত্তাপ ছড়াও
তা ভীষণ রকম মারাত্মক রোগ।
তুমিও  প্রতিজ্ঞা নাও, তুমি ভালোবাসা চাইবে না।
মানুষে মানুষে ধাক্কা খেয়ে, বন্ধনে আবদ্ধ শহরতলী, হওয়াসুরে বদলে ওঠার বদলে
কঙ্কালে পরিণত হয়।
এ যেন এক সৌখিন খাঁচা
বারংবার চুরি হবে আমাদের অস্তিত্ব।
তুমি আমি এক মিলিত বারান্দা
বুঝে যাই মনের বাইরে ভেতরের কথা।
তবে তোমার জন্য আকাশের চাঁদকে কপালের টিপ বানাবো না,
রাস্তা হবে না কোনো ফুলের বিছানা,
তুমি কষ্ট পেয়ো না,
ভালোবাসার চেও না,
কাগজের বুক ভেঙ্গে ধরণীতে কবিতা ফুল ফোটাবো না।


আমার সত্যতার  জ্যোতিষ্কে তুমি ডুব দেবে,
গনগনে দাবানল চাদরে পা রাখবে,
ফাঁসির জন্য অবলীলায় ফাঁসির দড়িতে চুমু খাবে।
তুমি আমি কোন এক বিশ্বযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সৈনিক।


সময় নষ্ট করবার জন্য সময় নেই
"শ্রী" এখন দেউলিয়া।
    ভেবে দেখো তুমি
সময় বড়ই কম
তুমি আমি চলো, চলো ডুবে যাই ফাঁকা শূন্যস্থানে।
আমার দেশের সবুজ শাড়িটাও বেহুশ মানুষের ঘর মোছা ন্যাকরা।
চলো, আমরা সবুজ ভিক্ষা করি।
পথে পথে বুঝে নেবো ক্ষুধার্ত শিশুর  অব্যক্ত ভাষা।


আমাদের মনে কতটা দুর্ভিক্ষ,
আমাদের মনে কতটা  দুরারোগ্য,
আমরা কতোটা কাঙাল,


কাঙালিপনার অসুখ ভঙ্গ করে,  বুঝিয়ে দিতে চাই খেলনার মতো ঝুলে থাকা মনুষ্যহীন মানুষদের।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১০/০৪/২০২২