"এই  ধরিত্রীও সত্যটুকু জানে"
                      বিপ্লব দাস


কতটা কষ্ট তোমার সামনে তুলে ধরলে –
সুখের স্রোত হয়ে ভিজিয়ে দেবে আমায়,
বলো কতটা?
একবার, একবার শুধু আর্তনাদ শহরে
কাঠঠোকরার মত ঠুকে ঠুকে বা ডুবুরির মত এসে বলে যাও।
রোদ আলোর ভিতরে আমার করুন কণ্ঠস্বর মিশে যায়
ভিক্ষারী, ভিক্ষারী আমি,তবু মনের পবিত্রতীর্থস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।


আমার জীবন পৃষ্ঠা একেকটা কষ্ট যন্ত্রণা,
দুঃখও তো কুষ্ঠরোগের মত লেগে আছে মনে।
মানুষ তো অন্যের ফুলের বোঁটা ছিঁড়ে ছিঁড়ে ধনী হয়ে যায়,
তবে আমার কষ্ট গুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে তুমি সুখী হতে পারো না?


আর কতটা কষ্ট  খসে খসে পড়লে
তোমার বেখেয়ালি মনটা লুট হবে অন্যগ্রহে?
আর দরজা পেরিয়ে এসে আমার কষ্ট ঘাস উপড়ে দেবে?
মনের কংক্রিট কষ্ট দানাগুলো  চিরতরে  বিপর্যস্ত  হবে?



মনে হয় তোমার সম্মুখে মেঘের মত সুন্দরী এক দেওয়াল আছে,
যার মেঘার্ত হাতখানি শুধু তোমায় ছুঁয়ে দেয়
যা আমার কণ্ঠস্বর  পর্যন্ত পৌঁছায় না কোনোদিনই।।


আমার ছায়াও আমার সঙ্গে বেইমানি করে অনবরত।
আর  তুমি তো অন্য কোনো নষ্ট ভ্রষ্টদের জন্য  পাগল
এই ধরিত্রীও সত্যটুকু জানে।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–৫/০৬/২০২২
(১০টা ৫১মি:রাত)