"হলুদ পাতার হস্তাক্ষরে, গোধূলিহর্ষ"
             বিপ্লব দাস


ফিরে যাব আমার ঠিকানায়।
ফিরে যাবার মুহূর্তে যতগুলি শরণার্থী চেকপোস্ট টাঙ্গানো থাকবে সম্মুখে,
আমি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবো।
আমি সেই আলোয়  কুটিরে  ফিরে যাব।
সেখানে কোনো মানুষদোষের অযথা  বিবাদ নেই ।
আমি ছিলাম দোঁয়াতবাটি, এলোমেলো ভাবে এঁকে যেতাম শূন্যস্থানে।
ভুল করা বা  ভুলে ভরা এমন শব্দ ছিল না আমার ঠিকানায়।


আমি ফিরে যাব আমার ঠিকানায়।
জন্মের পর থেকেই এই রঙ্গমঞ্চে শিখে গেছি বদ অভ্যাস।
উদ্বাস্তুর মত মন খারাপ, দুঃখ, অভিমান, অবসাদ ছাড়া কিচ্ছু নেই ।
এইভাবে সকলে সকালে করি বদঅভ্যাসের বন্দনা।
সীমা লঙ্ঘন করে ভালোবাসার নিখাদ মুখটির চিত্র দেখাতে পারেনি কেউ,
এমনও হতে পারতো মানুষের মনগুলো গন্ধরাজের মত–
তাহলে আমি হিংসার মুন্ডু কেটে ,
আমার রহস্যময় হৃদয় কুটিরে সাজিয়ে রেখে দিতাম সেসব গন্ধরাজ মনগুলোকে।
আর না...
ফিরে যাবার মুহূর্তেই আর একটিবার গোপন সত্য কথাগুলো বলে দেব ।
অপেক্ষা ব্যথার ধুধু আকাশ ফেটে নামবে পুষ্পবৃষ্টি,
আমার অশ্রুর মধ্যে জেগে উঠবে পোড়া জীবনের প্রতিচ্ছবি ।


অক্লান্তে অভিপ্রায় সাঁকো ফুল শাড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল যত কোটি ময়ূরপঙ্খী,
তারাও পাক "হলুদ পাতার হস্তাক্ষরের গোধূলিহর্ষ"
মন পাখি মানচিত্র ছিঁড়ে বেরিয়ে যাক ,
তাদের জন্য আমার উজান তলায় দাউ দাউ করে জেলে ওঠে অনন্ত দুঃখ ।


তবু আমি ফিরে যাবো আমার ঠিকানায় হাসি মুখে।
কারণ, এখানে বোঝার মত আমাকে,
আজও কোন প্রাণীর জন্ম হয়নি ।
আর এমনই হাস্যকর প্রতিধ্বনিতে আর ফিরে আসবো না।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–৬/০৮/২০২২