"কাব্য চাই তোমার কান্না নয়"
       বিপ্লব দাস
তেত্রিশ কোটি জনম ধরে শুনেছি তোমার কান্না,
এই জনমে কাব্য চাই, বিন্দুমাত্র চাই না কান্না।
ক্ষণকালের সেই ক্ষণপ্রভা আজও দুধের মত সাদা
জবাবদিহি করতে পারব, জগৎপিতার সম্মুখে,
হয়েছে তোমার সঙ্গে দেখা।
খতমের খতিয়ান লিখতে লিখতে হিমশিম বিধাতা
তবুও "আমি, তুমি" গেয়ে গেছি কৃষ্ণনাম জনমে জনমে।


তবুও কেটে গেল এজীবনে চোদ্দশ ষাট দিন ,
হয়েছে সূর্য পাতায়, আমাদের  সূর্যোদয়
নব নব জন্ম দিন,


অনাবিল জন্মেও পাইনি তোমার দেখা,
বুকের বাঁপাশে ছিল তুমিবীনা মরুভূমির বাস।
আমি সেই অভাগা পুরুষ,
যে কান্নার
স্বাদটুকু নিয়েছি দুর থেকে ।
তোমার কান্না এক মায়াবী জলস্রোত ভিজিয়ে দিয়েছে প্রতিক্ষণ,
সে অসুখ থেকে গেছে যুগে যুগে
ছুঁয়ে দেখা আমার 'হাত পালক ' পুড়ে গেছে বারংবার।
এ জনমে ছুঁয়েছি গুটি কয়েক বার,
তোমার আমার হাসি ছড়িয়ে যাক  কান্তিবলয়ে,
রাগান্বিত হয়ে যারা ক্লান্ত হয়েছে জীবনকে ধিক্কার দিতে দিতে,
তারা জেগে উঠুক আমাদের দেখে।


তোমার পিছু ছাড়িনি কখনো,
তোমার জন্মের কুড়ি বছর পর তবু আমি এসেছি,
শুধু তোমার জন্য, শুধু তোমারই জন্য।
মৃত্যু জয়ে জয়ে  তুমি তো মৃত্যুঞ্জয়ী।
মৃত্যু নিয়ে তোমার বিভীষিকা নেই।
আমার  নয়ন খুঁটে খুঁটে দেখতে চায় একটিবার,
      শুধু একটিবার।
বেদনাহীন পংক্তিমালার আচ্ছন্ন দিবসে।


তেত্রিশ কোটি জনম ধরে শুনেছি তোমার কান্না।
এমন কান্নায়,
গোলাপ না ফুটুক চোখের পাতায়।
তোমাকে না পাওয়ার ভুলগুলি  সুধরে নিয়েছি এ জনমে।
তাইতো এত কাছে, খুব কাছে তুমি।


ঈশ্বরের অগ্নিময়  নিয়ম লঙ্ঘন করে–
           তুমি আমি ঊর্ধ্বে আনন্দের মোড়া ভূষনে।


তাই ছেয়ে যাক  উদ্যমী কাব্যছায়া ধরিত্রীমাতার  গর্ভগৃহে।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২১/০১/২০২২