"কাগজে মোড়ানো জীবন"
     বিপ্লব দাস


সংবাদপত্রের খবর আজ আমার হাতে–
কোন ঋতুর বাদ নেই আমার কাছে
বিলিবার তরে গ্রামগঞ্জে শহর ফুটপাত ও কুঁড়েঘরে।
কারো সোনার চামচ মুখে– বলে খেয়ে নাও মামনি, স্কুল দেরি হয়ে যাবে।


কুঁড়ে ঘরের একদল ছেলে অঘ্রাণমাসে পেট ভরে খেজুর রসে।
ফাৎনা লাগানো একটু সুতোর কলে
নেই খাবারের পুঁটলি–
এইভাবে কাটে আমার তৃষ্ণার্ত অলিগলি।
বিপন্নহীন বাসনা খোঁজে না গোয়েন্দা–
পুষ্পের গন্ধময় সিংহাসন স্থান
আহত নিঃশ্বাসে ধরে আছি আমিই সোনার ছাতা।
সর্বাঙ্গে লিখিবার কালি বর্শার আগুনে
আঁখিতারা আমার চিল শকুন চায় তুলে নিতে।
মাইলের পর মাইল বন্ধু ছিল ভাঙ্গা বেলহীন সাইকেল খানা,
মালিকের সঙ্গে এককাপ চায়ে
বিলোতে হয় নিত্যদিন সংবাদ পাঁচশো খানা।


নীল পুষ্পের মত নীলাভ বরফ দেহ
থর–থর গলীয়মান অবশিষ্ট স্রোতে
যাচ্ছে নিঃশব্দে ভেসে।
জানিনা এ কুরুক্ষেত্র উদ্দাম
খোলস ভাবে চলবে কতদিন গোপনে?
নির্ভয়ে মুখ ঢাকে পথচারী পথে
বর্ণান্ধ জীবন আমার পৃথিবীর বুকে।


অংশগ্রহণের আংশিক ক্ষুদ্র খন্ড আমি–
বলদের মতো প্রদর্শন করি শহর থেকে গ্রাম
কষ্টের ক্ষীণদৃষ্টি নেই লক্ষ্যভেদ কারীর
জীবন হয়েছে দৃশ্যমান কাগজের প্রদর্শনী।


উত্তরন মঞ্চে তীক্ষ্ণাগ্ৰ বর্ণশুদ্ধির    দন্ডে দন্ডিত
হিতৈষী চিকিৎসক পায়ে পায়ে চাপা পথে
মুরব্বির মতো কাগজে কাগজে হয়েছি বন্দি
নিজ বয়ানের অধিকার
বুক সমান উঁচু প্রাচীরে
বেঁধে গেলাম খবর কাগজে, আজ অন্যের নিয়মে।।


রচনা– বিপ্লব দাস
১৫ নভেম্বর ২০১৭
সকাল৯ টা৫৪