কচি তাল– শাঁস
                   বিপ্লব দাস
মূল্যবান লেখকদের মৃত্যুর পরে,
আর যারা এখনো বেঁচে আছে
তাদের মতই আমিও  এক ক্ষুধার্ত ছেলে–
মন প্রাণে কবিতাকে ভালোবেসে,
ক্ষুধার জ্বালা মিটে আমার শুধু কবিতার সংস্পর্শে।
যেসব মূল্যবান পুরুষরা  কবিতাকে জন্ম দিয়েছিল–
জন্ম হয়েছিল হয়তো কবিতারই টানে,
মনের যন্ত্রণা নামক বস্তুটা  মিটতো কবিতার  রসাস্বাদনে।


কবিতা তুমিই ছিলে রঙিন প্রজাপতি–
রাঙিয়ে দাও সমস্ত সুঁতো দিয়ে বাঁধা মনকে।
বিছানায় শুয়ে তোমার মুখোমুখি
জ্যোৎস্নার আলোর মত ভাসে তোমার মুখখানি,
প্রেমের প্রথম ও শেষ আজ তুমি আমার অর্ধাঙ্গিনী।
চুপে– চুপে রেখে যন্ত্রণা দেবো না তোমায়,
ছড়িয়ে দেবো সমস্ত ঋণই জীবন পাতায়।


তারাও জানুক, তারাও বুঝুক–
কচি তালের শাঁস যেমন স্বাদ
তেমন চোখ বুঝে বেগবান সুস্বাদু তোমার ঠোঁটে
উথলিয়া অজস্র দিনের পর দিন প'ড়ে
নুনের মত  খর বিষ নেই তোমার ধরায়।
কাদামাখার সঙ্গে জঞ্জাল  মিশ্রিত মেঘাছন্ন সমর
কৃপা চাওয়া তোমার শীতল গর্জন,
না শোনার ভান ফ্যাকাসে মুখে
আনন্দিত চাতুরী দল, অস্থির মন।
ঝিনুক থেকে মুক্তো বের করে যেমন খোলস ছুঁড়ে দেওয়া–
হাতে– হাতে তুমি আজ মোড়ক অবস্থা,
নয়নে স্বপনে আজ তুমি  হলে একদম সস্তা।


                      রচনা– বিপ্লব দাস
                  তাং–২১/১০/২০১৭
                 সময়– দুপুর ২ টা ৪৭ মি:(শনিবার)