"কোনো এক সন্ধ্যায়"
বিপ্লব দাস
কোন এক সন্ধ্যায় জ্বর এসেছিল ।
গভীর অন্ধকারে শুয়ে ছিলাম একা ।
শরীর জুড়ে জ্বর রঙের উষ্ণতা
করেছিলাম জলপট্টির নিবিড় প্রতীক্ষা,
সে জলপট্টি ঠান্ডা কোমল স্পর্শ পাইনি।
কেউ আসেনি আমার কাছে।
নির্জনে আমার এই অনুরাগ থমথমে রাত্রি ভালবাসে।
যন্ত্রণার লেলিহান রামধনু গাইছিল ভস্ম হবার গান।
আমি যন্ত্রণার তাড়নায় সেদিন খাতার উপর হাবিজাবি দাগ কেটেছিলাম।
সে দাগের আঘাত সরলরেখায় মিশে গেছে,
তবু সেই দীনবন্ধু দিয়েছে চরম অভিশাপ ।
আজও শব্দ সংখ্যাগুলো ভালোবাসে দগ্ধ জীবন–
দেখাতে পারেনি পৃথিবীর ওড়না সরিয়ে আলোর বিন্দুটুকু।
কোন এক সন্ধ্যায় রাস্তা ভুলে গিয়েছিলাম,
তবুও ফিরেছিলাম পথিক হয়ে একা একা।
কোন এক সন্ধ্যায় জীবনটা চায়ের পেয়ালায় নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল,
দ্বিতীয় পৃথিবী ব্যথাতুর যে, আমার আত্মা ধরে রাখতে পারিনি।
একা একাই ফিরতে হয় ধারালো আঘাতে জলসায়
জ্বর মাপতে হয়,
ধূসর খামে হৃদয়টা মোড়ানো থাকে
একটু আশ্বাস দেওয়ার জন্য ছুঁয়ে দিতে হয় ।
তবে এমন ধ্রুব বন্ধু পাওয়া যায় না ...
তবুও কোন এক সন্ধ্যায় চলে এসো ভুল করেই,
চলে এসো...
অপেক্ষা করছি বিছানো শিউলি ফুলের মত।
সে সন্ধিক্ষণের স্মৃতি থাকবে জ্বরের মত মিশে,
সে ছায়া মুখখানি হবে আমার বেঁচে থাকার কেন্দ্রবিন্দু।
সেঁদিয়ে ওঠা টনটনে যন্ত্রণার গল্পগুচ্ছের হবে তুমি প্রলেপ সঙ্গী।
আর উঠানামা হৃদয় স্পন্দনের জড়ানো অক্ষরগুলো রাত্রিতে আলো হয়ে ফুটবে,
পৃথিবীর বুকে পড়ে থাকা নরম পালকে আমাদের পৃথিবী টুকু জলের মত মন দামে বিক্রি হবে।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং –২৫/০৬/২০২২