"মেঘের স্বরলিপি"
       বিপ্লব দাস


আর কতবার আমার মনটা খুন করবে?
আর কতটা মন বক্সে খুলে আঘাতের ভেলকি দেখাবে?
একটিবার...
একটিবার ঝাঁঝালো হৃদয়ে একটি চুম্বন  এঁকে দাও।
জীবনের কত সজল পংক্তি ভূমিষ্ঠ হবার সম্মুখে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছে।
আকুলি পাখিটা পাথর বাস্তব  ঠুকরে ঠুকরে
সুরের রেখা ওঠেনি ফুটে।
আমায় দেখেছ শুধু বাইরেটুকু,
  শুটকি মাছের মত কত শত স্বপ্ন পড়ে থাকে,
সেসব আলাদা হলুদ ছবিগুলি কখনো দেখোনি।
পৃথিবীর ত্রিসীমানায় জেনে,
না জেনে প্রত্যহ মনটা খুন হয়।
হারিকেনের টিমটিমে আলোর মত একাকিত্বে জ্বলি,
তুমুল ভাবে নিজের বুকে কিল দিয়ে সাঁতরায় স্থল জলসায়।


তোমার জীবনে কোন সংকটযুক্ত গ্রহরাহুর দোষ নেই ,
না আছে বিকল্পের ব্যবধান।


তোমার আঁজলাভরা সুখ, শান্তি।
আমি হয়তো জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা দ্বিতীয় সূর্যমুখী,
যা আমাকে দেখে অবজ্ঞার উচ্চারণ  ছুঁড়ে দাও তোমার রাজকীয় পায়ের তলায় ।
তাই আমার অজানাটা অস্ত্রপাচার করতে হবে না জানার জন্য,
জানার বৃত্তান্তে তোমার হৃদয়ে দেশালায় বাক্স হতে পারবো না ।
আজও আমি জুড়ে সারল্যমাখা রয়ে গেছে নিখুঁতভাবে আমার কাছে।
তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে দিতে পারি না আতঙ্কের ঠিকানায়।


মিছে মিছে দুর্বল আলাপনে শ্যাওলা চারা জন্মেছে শুধু মনে,
তবে কিসের প্রণয় পুষ্পের সুঘ্রাণ!
আজও পায়নি যে মৃত্তিকা তোমার পায়ের  সন্ধান।
রজনীর অতল ঐতিহ্যে চূর্ণ-বিচ্ছন্ন অনলে ফুটে উঠে  বিজনবিভা,
যা দিয়ে পারি  সাজাতে রাত্রির সিঁথিতে   ব্যর্থতার কবিতা।


প্রিয় বলে অজস্রবার খুন করেছো  আমার মনটা,
যা পৃথিবীতে কবরের জায়গা কমে যাবে।
মেঘের স্বরলিপি নিয়ে ভালবাসতে এসে,
কেন তবে অন্তপুরে মৃত্যুর প্রতিধ্বনি বাজিয়ে দাও?
বারংবার আমার মনটা খুন করে খুনি হতে চাও ।
তোমায় যে মনের প্রতিটা পাতায় বিছিয়ে রাখি তোমার ছবি,
তবু কেন বোঝনা আমার মন খারাপের অশ্রু বর্ষণ?
ধনুকের মতো বাঁকানো একটা দীর্ঘনিঃশ্বাসী আমার জন্য রাখা আছে উপেক্ষা,
যা কারণ ছাড়াই প্রতিটা মুহূর্ত আমি খুন হতে পারি।।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–৩০/০৮/২০২২