"মন কুঞ্জ"
     বিপ্লব দাস


কিছু কিছু মানুষ জীবনে আসতে আসতে তারা প্রিয় হয়ে ওঠে।
মানুষ শব্দটা তখন বেমানান মনে হয় ।
সকাল সন্ধ্যা আমার অতিষ্ঠ জীবনে সে যেন খুশির রসনা,
সে যেন সমস্ত পাখি প্রজাতিকে বাজেয়াপ্ত করে,
পাখি সুখের বৈভব ঢেলে দেয়,
প্রত্যহ শহরের  প্রতিটি অলিগলিতে।
যখন তখন এমন খুশির ঝর্ণা ছিঁড়ে ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে।
সেই অচেনা মানুষটাই হৃদয়ের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে সাঁঝ প্রদীপ হয়ে ওঠে।



আমি বলতেই পারি আমার জীবনের  কুহকিনী জন্মদিন।


কিছু কিছু মানুষ জীবনে আসতে আসতে ,
তারা প্রিয়তর হয়ে ওঠে ।
সমস্ত শহর মানবীর সুখ লুট করে নিয়ে আসে আমার কুঞ্জে।
সমস্ত ঘাস থেকে তুলে আনে শীতল  শিশির,
সমস্ত চিত্রশিল্পীর থেকে তুলে আনে অনন্য সব আবেগপূর্ণ দৃশ্য।
সমস্ত ক্যালেন্ডারের সংখ্যা থেকে তুলে আনে কবিতাময় জীবন।


সম্প্রতি এমন নষ্ট ভ্রষ্ট  প্রলয় চাই না,
সম্পর্কটা ভেসে যাক তিন ভাবে জলে।
আর কিছুটা দিন,আর কিছুটা দিন করে
দুজনের বিশ্বস্ত হাসি প্রত্যয়ে  দুটি মন আটকেছিল একটি পুষ্পে।
এই সম্পর্কের কোন গাণিতিক সূত্রে আশ্রিত নয়।


মনে হয় কবিতার ভিতরে যে নারীকে বারংবার খুঁজে দেখেছিলাম,
সেই কবিতাপটেই   বিস্ময়কর ভাবে তোমায় খুঁজে পাওয়া।
কপাল আর চিবুকের ভাঁজে সুন্দরভাবে সে বুঝে যায় কতটা বিষন্ন, কতটা মায়া  জমেছে?


কিছু কিছু মানুষ জীবনে আসতে আসতে ,
তারা প্রিয়ময় হয়ে ওঠে। শরীরে খা খা জ্বর বা মনে ব্যক্তিগত বিষাদ,
জীবন পথে পায়ের তলায় অগ্নিকাঁটা বিঁধে থাকলেও,
পায়ের তলায় ফুলের স্পর্শ মনে হয় ।
শরীর মনে খুশির নিম্নচাপে ভরে ওঠে।


আমিও যত্ন করে রেখে দিয়েছি মেসেঞ্জারে দুঃখের অক্ষরগুলো আর একগুচ্ছ স্মরণীয় ছবি।


তবুও এ সময়ে তার এক ভাগ স্থলে বুঝি জায়গা  কমে যায়।
না বলে ই সে ছেড়ে যায়,
কথা বলা বন্ধ করে দেয়, বুঝিনা কি অভিমানেবিদ্ধ?
কোন কারণেরই উপসর্গ খুঁজে পায় না?
তবু প্রিয় শব্দটি মনে কখনো কাটাকুটি হয় না ,
সে প্রিয়তম থেকে যায় জলছাপের মত আমার মনের কুঞ্জে।


তুমি চলে যাওয়ার সময় ,
যে তোমার বিদ্যুৎ ঝলকানি
দুর্যোগে
আজও প্রতিটি জীবন পৃষ্ঠা দুঃখের উত্তাপে ভরে উঠেছে...
এইই টুকুই তোমার দেওয়া শ্রেষ্ঠ সম্বল।।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২৩/০৮/২০২২