মুখোমুখি নীরবতা
      বিপ্লব দাস


নিবিড় ভালোবাসা মাঝে মাঝে কখনো মুখোমুখি হবার–
         নিরবতার ছাপ উঁকি দেই।
যে হৃদয়ে দুজন দুজনার ভুলত্রুটি, ভালোবাসা ভালোলাগা,
মান অভিমান ,খড়কুটোর মতো কুড়োতে কি শান্তি হত!
               আজ উল্টো চাঁদের অফুরন্ত প্রশ্ন।
মুখোমুখি হওয়ার  সুমিষ্টতর শিষ, বাজে না দুটি হৃদয়ে।


শিশির যেমন বিয়োগ হবার স্বাদে উল্লাসিত হয়,
আমি পিছু ফিরে বেদনার তারা গুনি।
আঁশটে পিঁশটে  জরানো বেদনা।
ঘন রঙে প্রেমগুলো যখন পান্না, মুক্তা জড়িয়ে ঘুরতাম দুজনে,
তখন সবার নজর লাগতো
তামাশা করত সবাই  পশ্চাতে।
তবুও সেই  জখমগুলো সরিয়ে
              তোমাকে করতাম রাজা
         আমি হতাম সামান্য প্রজা।
সেই সুখের রাত শেষ
     আজ দুজনার মুখোমুখি আঁধার প্রতিচ্ছবি।


তুমি ভাবছো আজ আমি কবর নিয়ে ঘুরছি পকেটে,
বেদনা নিয়ে ঘুরছি পায়ে পায়ে,
তুমি এও ভাবছো মগডালে আমি একা আছি বসে,
তোমার ভাবনারা ভুল রক্ত ডালিম গুনছে।


হ্যাঁ, আমি আকাশভরা অভিমান নিয়ে খেলছি বটে
সেই মেঘবতী কন্যাকে সরিয়ে
তবু আজ মোমবাতির আগুনে আমার আঙুলগুলো পোড়াতে স্বস্তি পাই।


মুখোমুখি হবার ঢেউ খেলানো
                     হৃদপিন্ডের আওয়াজ
আর শুনতে চাই না।
সময়ের সমস্ত খরকুটো খেয়ে
'আমি' 'কে– তুমি করেছ ব্যবহার।
সেই রাস্তার সন্ধ্যা নামিয়েছো রাজা তুমি।


ষোলআনা দোষ দিও না আমার দিকে।


ঈশ্বরের আয়নায় জীবন্ত গল্পগুলো
অন্ধ করলে আমার ।
আমার ঈশ্বর দেখছে তোমার দরজার ফাঁক দিয়ে
কতটা সত্য আমি আর কতটা তুমি।
তবু দিবানিশি তোমার জিভের  লালা দিয়ে
আমার মনের  সাঁকো ভেজাতে  পারবে না।


কি সুখের সুরে বাজালে ভুল বাজনা?
তোমার নিবিড় ভালোবাসা প্রজ্বলন প্রতিযোগিতায় আমি প্রথম।
তোমার পায়ের ধুলো জড়িয়ে ভালবাসতাম
কখনো আমার ললাটে ছোঁয়াতাম।


ফুঁড়ে কি যাবে এই সময়ের সমস্ত গহন প্রত্যয়?
এ প্রশ্নের স্পর্শ আমার বা তোমার থাক অবশিষ্ট,
আর কোনদিন হবো না তোমার মুখোমুখি।


রচনা–বিপ্লব দাস
১৯ জানুয়ারি ২০২১
সন্ধ্যা৫টা ১০