"নক্ষত্র হয়ে দেখে যাবো"
বিপ্লব দাস
কোনদিনই কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে দেরী হয় না,
ঘরে ফেরা এই অসুখ ছটফটানি,
ঘরের দেওয়ালে টিমটিমে আলোর থেকে তুমি ভালো জানো।
আমার মায়া নিয়ে তুমি এত ব্যস্ত?
কণ্ঠস্বরে অস্বাভাবিক দীর্ঘশ্বাস,
ভালো আলপনার মধ্যেও ঐশ্বরিক প্রার্থনা
এমন মন চুরি করা মনোযোগী মুসাফির কখনো দেখিনি আমি।
কেন, কেন এত কিছু আমার জন্য করবে?
আকাশ দেখা বন্ধ করে দেবে,
শহরের স্রোতে একটা অনামী কবিতা তোমার ভীষণ প্রিয় হয়ে যাবে
ভাবিনি কখনো।
মনে হয় একদিন ঘরে না ফিরে শহরের নেশায় বুঁদ হওয়া মানুষদের অগ্নিদগ্ধ করে তছনছ করে বাড়ি ফিরব,
তারপর আমার পেছনে তারা ধাওয়া করবে
ধাওয়া করতে করতে বাড়ি পৌঁছে যাবে
সাত-আট দিন এমন তাণ্ডব চলতেই থাকবে
তবে এমন কিছু আমার ভালো লাগেনা ।
তুমি তা বেশ ভালো জানো।
আকাশের ঠিকানায় কবিতার পাতা খুলে
শুনিয়ে যাই– সূর্যের চোখের রং,
শুনে তুমি আজও অতিষ্ঠ হওনি।
মহাকালের পেছনে ফেলে আসা অন্ধকার সেঁতুতে,
চুরি করা নিষিদ্ধ আলোতে,
সংসার রোদে ভীষণ সুখী ।
আজ তবে তোমার মনের ভাঁজে ভাঁজে অনীহার পারদ কেন?
হয়তো তোমার মনের ভিতরে একটা চাপা যন্ত্রনা
দরজা বন্ধ করে গুমড়ে কাঁদো।
তবুও তোমার কথা শুনে আমার মনের মনপাখিগুলো উড়তো আকাশ মেঘে,
সেই মুখে এমন কষ্ট দেওয়া কথা শুনে
ফিকে হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ।
দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এত পরিকল্পনা
দাও, সরিয়ে দাও আমায়,
তবুও নক্ষত্র হয়ে দেখে যাবো দূর থেকে
যে নক্ষত্র সহজেই অনাবৃত হতো তোমার কাছে।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২৬/০৩/২০২২