অক্টোপাস বন্ধন
         ( উৎসর্গ করলাম প্রিয় বন্ধুর জন্য)
                          বিপ্লব দাস(রাহুল)


কালের কলঙ্কে জরাজীর্ণ আমি মিতালী।
পথের বাঁকে বাঁকে আমার ,সুধা করি বিসর্জন–
কুয়াশায় ঢাকা আমার মুখশ্রী                                                                                                 করে তবু আলোর আলোড়ন।


সময়ের প্রবাহে কেউ বোঝেনা গোপন দুঃখ লহরী।


আমি মানিয়ে নিয়েছি নিজেকে দীপশিখার মত
প্রতিনিয়ত জ্বলছি আঁধারে।
যে বন্ধু আজও আসেনি আমার আঙিনায় কাঁটা গাছ ভেবে–
              সে আজ অন্য ঘরের শুভ্র পাথর
শুশ্রূষায় প্রাণময় আলিঙ্গন করে থাকে।।
আমি পানকৌড়ির মত পেয়ালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি
কখন দোল খাবে খুশির দোলনা।


সেখানেই হল তোমার আবির্ভাব বন্ধু
আঙ্গিনা জুড়ে খুশির উল্লাস,
কুয়াশাযুক্ত হৃদয় পেল  সু–বাতাস।
প্রকৃতি  বৃষ্টির মত ঝরলে–
অনুভবের আয়নায় তা স্পষ্ট।


দেবী কখনো দেখা দেয় না
তুমি সেই দেবী।
তোমাকে জোরবদ্ধ দেখা–
গৌড়বর্ণ মুখ, ললাটে সূর্য
গোছা ভরা চুলের মাঝখানে ঐশ্বর্য।
অপূর্ব          সত্যিই অপূর্ব     আভা।


জানি পৃথক– পৃথিবী দুজনার–
তবু দুদিনের পরিচয়ে
উড়ছে সৌহার্দ্যের রসনা।।


পৃথিবী যতদিন থাকবে সাক্ষী হয়ে আমিও থাকবো।
অক্টোপাস বন্ধনে আবদ্ধ হব
সন্ধ্যার সোনালী প্রদীপ সাক্ষী হবে।।
স্বর্গীয় চিহ্ন কখনো না আসে বন্ধু নামের আগে
হেঁটে যাব অনেক দূর, কুয়াশচ্ছন্ন প্রহরে, ধূলোয়,
বা পাহুরে রাস্তায়,কাঁটাযুক্ত পথে,পাতা ঝরা বিকেলে।
নরম পালকের মত চলবে তো হাত ধরে।।
তোমার ঝলমলে হাসি আসমান ছোঁয়া
ধরিত্রীজমিন ফুলদানি পা রাখবে যেখানে' তুমি'
তুমি তো মায়াবী প্রতিমা।।


ভারাক্রান্ত পথিক কে করলে শুভেচ্ছা ।
কখনো যদি অকস্মাত্ পোড়ামনের খুশবু পতাকা
  ওরে বলতে পরো আমায়,
মনের কাচ ঘর ভেঙ্গে সুখী কাজল পরাবো তোমায়।


এ তো বন্ধুত্ব সুরভী
রাখি না দুজনে সযত্নে তুলে
জীবন কাটুক  না সূর্যমুখীর মতো রবির দিকে চেয়ে।।


ভালো থেকো বন্ধু
ভালো থেক।


         রচনা– বিপ্লব দাস
       ১০ ডিসেম্বর ২০২০