"পাশাপাশি আমরা নদীর মত–অচেনা"
                             বিপ্লব দাস


পাশাপাশি আমরা নদীর মত– মনে হচ্ছে অকাতরে ঝকঝকে বিশুদ্ধ বাতাস বইছে পরস্পর থেকে।
পাশাপাশি আমরা নদীর মতই,
যার মৃত্যু নেই...
তবুও কেউ কারো কষ্ট ছুঁয়ে দেখিনি।
তবু আমি দেখবার আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
  মায়া যেন মরুভূমির বুকে জ্বলছে,
সংসার নামের রাজপথে বিশ্বাসভ্রষ্ট অভিজ্ঞতা, উচ্চারণের স্বাক্ষরগুলো রেখে আসি সময়ের বুকে ।


ভেতরে ভেতরে আমার হাড়, পাঁজর  পচে যাচ্ছে,
মনে একটা মন খারাপ শিখা জ্বলছে অবিরত।
আমি বলতে পারছি না– আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
সম্মুখে নেমে পড়ছে আকাশ ছোঁয়া পাঁচিল।
আমি বোঝাতে পারিনি আমার মনের কথা,
আমি ভালোবাসার কাঙাল, সেই   হেমাঙ্গ  দোদুল্যমান উপচে পড়া সময় চাই,
এই অভিলাষই আমায় এখন চাইতে হচ্ছে।
তাহলে নাড়ী ছেঁড়া  নাড়ী জোরার পার্থক্য কি ?
যার  গর্ভাঙ্কে ভালোবাসার পবিত্র ঢেউ,
বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ জুড়ে মম ধুপের গন্ধ।
মায়া এক পৃথিবীময়।
তবু আলো আদরের অনুপম সুঘ্রাণ কোথায়?
কই?


স্পর্ধার বিরুদ্ধে গিয়ে  স্পন্দনময় ভালোবাসায় চাওয়া কি পাপ?
আমার এই হিংস্র হৃদয়টা কেউ ছুঁয়ে দেবে না।
ঘরের ভেতরে খসে খসে পড়ছে অন্য ঘর ,
পরছে মানুষের ক্লান্ত মন, গন্তব্যের সূচিপত্র পৃথক পৃথক।
পাশাপাশি আমরা নদীর মত, তবু কেউ কাউকে সম্পূর্ণ চিনি না।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৫/০৭/২০২২