"পাপের প্লাবন"
     বিপ্লব দাস


আচ্ছন্নগ্রস্থ হৃদয় পাপের  প্লাবনে জর্জরিত–
না বলে কুচকাওয়াজ করলেও হবে না পাপিলা বিলীন।
ঝলকে ঝলকে পাপ পাহাড় হয়ে উঠবে,
সে চূড়ায় উঠতে  হাঁপিয়ে যাব সবাই।
বেকারির মত, পাপ বেকারি কেন্দ্র নেই পৃথিবীতে–
যেখানে  পাপগুলো সেঁকে সেঁকে পূর্ণের আকার দিত।


কোনো এক কবি বলেছিলেন– এ যুগে এভাবে
                      যুগটা কে দিয়েছে উপহার,
তোমায় মেনে নিতে হবে।
পাঠ্যক্রম না পড়ে, পাতকূয়ার পাশে তুলবে সেলফি
বাবুরা দামি সিগারেট কিনবে বেশি দামে,
ফুর্তি জমাবে পতিতালয়ে,
তবুও কিনবে না একটা চিরকুট বই।
অসহায়ত্ব কবিদের বইগুলি হবে একদিন মুড়ির ঠোঙা।


কি আশায় বেঁচে থাকি, অগ্নিশিখা জ্বলে থাকবে দূষিত অম্লজানে?


উৎসবের সময় হাঁসফাঁস করবে,
ধুতির মত কিছু একটা পড়ে
ভুলে যাবে আঙ্গিনার বুকে আলপনা।


এ  তো করুণ ধ্বনি কেউ শুনবে না,
মুকুশের ওপর ঝকঝকে মরীচিকা।


মেনে নিতে পারছি না, কবি এ  অনুধ্যায়
তুমি আমাকে আমাদের ডুবে যেতে বলছ
এই বাস্তব, এই যুগ আজ জুয়াচুরি সংগ্রাম ট্রাজেডি।
চোখের সামনে বিকলাঙ্গ বাহাদুরি,
আপনার সত্য অনুভব বাহারে বাহারে সুসজ্জিত।
আমি আমরা চলছি তবু অনর্গলভাবে
ধমনীতে লেগে আছে আজও ধরণীর ক্ষণিক সবুজ ছায়া।
আমরা পারছি না,  ডুবতে এ পাপের প্লাবনে,
বেনুনি দিতে দিতে জীবন যায় অসভ্য দর্শনে।


রচনা–বিপ্লব দাস
১১ নভেম্বর ২০১৯
সকাল৯টা৩৭