পৃথক পৃথিবী
বিপ্লব দাস
ভেবেছিলাম, সাতাশ বাই চব্বিশ ক্লোজআপ প্রেমটা ধুপের গন্ধের মত–
ছড়িয়ে দেবো একটি গান রচিত করে,
না না একটা কবিতা, না উপন্যাস, ধূর ছাই একটা ছোট গল্প,
বেশ হবে বেশ।
অপ্রত্যাশিত ধোঁয়াটে ঘরে ভাসে তারই মায়াবী মুখশ্রী–
সর্ব কিছু নিয়ে দাঁড়াতে পারি তাঁর সম্মুখে,
আমার আর চাই কোন ঋতু চক্র।
তার মুখের কথাগুলো গোলাপ পাঁপড়ি হয়ে ঝরে,
অশ্রুতে ভেজানো উঠোনে আমার, তার আঙ্গুলের ছোঁয়া ই
জন্মেছে পদ্মফুল।
তবে এই অলসতার রানীর কবলে পড়েই তা লিখতে পারিনি,
ডুবে যাই তার ওষ্ঠ সাগরে–
আমার সংস্কৃতি উদ্যান ঘুমে থাকে আর জাগে না।
তবে কালির নৈবেদ্য শেষ নেই
অনিবার্যভাবে কলম চলে যায় অন্য কবি, লেখকের দরজায় দরজায়,
সেজন্য আমিও দেখতে পারিনি আমার মন খুলে
ও মনও কবির মতো একটান লিখতে পারে।
পৃথক পৃথিবীর দুটি পাখির একশো একশো কাব্যগ্রন্থ হবেই হবে,
তবে এই বিচিত্র দুনিয়ার দুটি পাতার গল্প অলৌকিক কিছু না, রহস্যময়ী না।
সমস্ত মানুষ তাদের ছায়া দিয়ে ডেকে দেবে আমাদের অঙ্কুরিত মন দুটি
তবে থাক , মনে মনেই সুসজ্জিত হোক
লিপিময় উঠোনে আমি একা একাগ্র নিয়ে পড়বো, খুব পড়ব।
তুমিও কবিতা, উপন্যাস, গল্প, বাদ দিয়ে
আমার মনটা ভাতের মত টিপে দেখো আমিও কতটা নরম।
হু হু করে একটি শিশু কাঁদছে
শুধু অন্তহীন মায়াবী পদযাত্রার গল্প শোনাবে বলে
ঘন সবুজ ডালে বসে তুমি শুনবে, তুমি শুনবে কি পৃথক প্রিয়াসী?
না পৃথক পৃথিবীর মাঝখানেও আরেকটা পৃথিবী আনবে....
রচনা–বিপ্লব দাস(রাহুল)
২৮ জুন ২০২১(সোমবার)
রাত ১১টা৫৩