প্রত্যুষা


প্রত্যুষার মত একটা বোন চাই।
যে শহরের প্রতিটি কোণে কোণে –
আমার কালো অক্ষরের বীজগুলো ছড়িয়ে দেবে।
প্রত্যুষা যেমন করে বলে– "দাদা আমি যতদিন বেঁচে থাকবো
তোর গান, কবিতা ছড়িয়ে দেবার
আপ্রাণ চেষ্টা করবো
গান আর কবিতায় বেঁচে থাকবে আজীবন"


বিশ্বাস করুন, এই  সন্ধ্যায় জোনাকির ডানায় পাঠিয়ে দিলাম আমার  কণ্ঠধ্বনি।
প্রত্যুষের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই,
সামনাসামনি কখনো দেখা হয়নি,
এই জনমেই দেখা হবে এর কোনো অঙ্গীকার নেই।


যখন দেখি তার দাদার লেখা–
কবিতা গুলো পোস্ট করে,
মেঘের দুপুরে, বিষন্ন রাতে, কনকনে ঠান্ডায়, ঝাঁঝালো গরমে,
বা মন খারাপের একলা সন্ধ্যায়
তখন অন্তরালেই আমি অসীম সুখ পায়
মনের সমস্ত দুঃখ গুলো উভে যায়।


প্রত্যুষার মত একটা বোন চাই
যা আমার মৃত্যুর পরে
খুশিতে কুড়োতে থাকবে আমার  লালচে অপ্রকাশিত চিরকুটগুলো।
আমার  ছবি  দিয়ে  ক্যাপশনে লিখবে– "ছয় মাস আগেও পরীক্ষার জন্য দাদার হাত ধরে গিয়েছিলাম এক দুর পাল্লার এক স্কুলে,
মানতেই পারছিনা তুই নেই,
তুই ছাড়া যে আমার বেঁচে থাকাটাই ভীষণ কঠিন"


প্রত্যুষার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই,
তবু একটা জীবন অবসর নিতে ইচ্ছে করে,
প্রত্যুষাকে একটু দেখার জন্য।
প্রত্যুষা এতটা কি করে মায়াবতীর, রূপবতী, গুণবতী, দায়িত্ববতীর অধিকারীনি?


এ এমনই এক কৌতূহলি অসুখ যার শুধু প্রারম্ভ আছে
  শেষ অধ্যায় নেই.....


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১০/০৭/২০২২