"সাহিত্য ধর্ষক "
         বিপ্লব দাস


যারা সাহিত্যের নামে, সাহিত্যের সর্বাঙ্গ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়,
তাদের আমি সাহিত্য ধর্ষক বলি।
সাহিত্য পিপাসু মানুষ প্রতিটা বৃষ্টি ফোটার মত উন্মাদ হবে,
তাদের অভিলাস হবে প্রতিটি মানুষের তরে।
তবে নরম তুলার মত সাহিত্য অনুরাগী কোথায়?
তাদের মনে হিংসা আকাশচুম্বী।
এর ফলে সমাজ বেহায়া নষ্ট ভ্রষ্ট ঘোলাটে চিত্রে ভরে উঠছে,
এমন সত্যতার অনন্ত জট লুকিয়ে রাখা যায় না!


তাদের বাসস্থান হওয়া উচিত কোন অগ্নিপিণ্ড গ্রহে ।
আমিও কবিতা কাব্যের মতো ধর্ষিতা হয়েছি বহুবার মানুষের কাছে।
তাদের মন পারমানবিক বোমা,
এই জমিনে সাহিত্য ফুলের সঠিক চাষ কোনদিনই হবে না,
তারা এইভাবে পরিতুষ্ট সন্তুষ্ট।
তাদের মাকসাদ সাহিত্য কুঞ্জটাকে ধ্বংস করা ।
নগর বা পল্লীতে আর পাওয়া যায় না সাহিত্যের মেঘলা ছায়া,
শ্যাওলা ধরা দেওয়ালে দেওয়ালে ক্ষোভের বিজ্ঞপ্তি। এভাবেই ফুটে ওঠে ভালবাসার আলগা চিত্র।
  দূর বহুদূরে এই দূষিত পরিত্যক্ত বৃত্ত থেকে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে,
দৈবে এমন অলিক দুর্ঘটনা  ঘটে না কেন আমার সঙ্গে ?


যে কবি ফিনিক্স পাখি হয়েও তার ডানার যন্ত্রণা বোঝেনি,
যে কবি শ্রমিক হয়েও শ্রমিকের শ্বাস-প্রশ্বাসের অভাব বোঝেনি ,
যে কবি ধর্ষিতা নারীর কবিতা লিখেও ধর্ষিতা নারীটির শাড়ি ভেজা রক্তের  চিহ্ন বোঝেনি,
যে কবি প্রেমিকের কাছে প্রেমের কবিতা লিখে কোনোদিন পুরুষ হতে পারেনি,
যে কবি কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের জন্য কবিতা লিখে ,সেই কৃষ্ণাঙ্গ নারীকেও ঘেন্না করে।
যে কবি পৃথিবীর টলোমলো কাব্য রচিতের জন্য চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে, তবে সেই কবিরাও ভুলে যায় তার হুহু আর্তনাদের কথা ।


মিছেমিছে এমন কবিতা লিখে শুধু কবিতার সঙ্গে  বাজি
এইভাবেই অজান্তেই নিজের কবরের  খাদ  খুঁড়ছে ।


যা সাহিত্যের নামে সাহিত্যের সর্বাঙ্গ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় তাদের আমি সাহিত্য ধর্ষক বলি।


এইই নির্মল ধরিত্রী তে তাদের বেঁচে থাকার জায়গা নেই...


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং –২২/০৮/২০২২