সারথী
                  বিপ্লব দাস
আজ আমার দিন বৃষ্টি ভেজা– ভেজা।
গভীরতম দুর্দশার আলপিন ফুটছে বারে–বারে
হতাশার ছোবলে আমায় সবাই আসে আঁড়ি দিতে
একে–একে পথ ছেড়ে দেয়;
আমাকে বাবলা গাছ বলে।
ক্লান্তরূপের বিভা ধরে রাখে আমায় শুধু বসুন্ধরা।
ঘুম আসে না,  ক্ষণপ্রভার সংকেত পেতে পেতে
সংকেতের সঠিক শ্বাস পারবে কি নিতে?
প্রভাবশালী সারিবদ্ধ উগ্র বৈশাখী
আহত করার রাগিনী তাদের সুরে
লিখিবার কলম পারেনা চলতে আমার সূত্রে,
বালুকা হয়ে  উড়ে পড়বো কোন ভাগাড়ে?
শেষে প্রারম্ভ যাবে আমার মুছে।
সৈন্যদলের মত পায়চারি তলোয়ার নিয়ে শত্রুদল।
একবিন্দু বিপ্লব ছিল পাখির নীড়ে–
হিসেবের বিনিময় অভাবী সংসার,
বৃদ্ধ বাবা কাজ থেকে নিতে চায় অবসর।
কষ্টমালার  ক্ষণকা আর শেষ হয়না
শূন্যতার স্বাক্ষরেই পেতে হয় শুভেচ্ছা।


   চাইনি স্বর্গ সুখের ভরা পেয়ালা–
আঁধারের গায়ে আঁধারে এসে করে শতছিদ্র
ভাঙে আমার মহা নিদ্রা ।
নিদ্রাহীন ভাবে নিয়মিত খুঁজি কাজের তালিকা
কর্মজীবীকার হাজারো বিজ্ঞান                                                                           ষড়যন্ত্রে ও পাইনা বিরাম চিহ্ন নির্দিষ্ট স্থানে।
হোঁচট খেতে হয় পথ চলতে চলতে,
বেকার জীবনে কে চায় হৃদ্যতা  করতে ?


ব্যাজস্তুতি প্রশ্নের মুখোমুখি কতদিন ভোগবিলাস
হয়েছে দিশেহারা মগজ।
স্বপ্ন দেখার চোখ হয়েছে অপমানিত
নৈরাশ্য হয়েছে জীবনের নকশা
তবুও বসুন্ধরা দিয়েছে কাঁটাওয়ালা কেদারা
তাতে বসে স্বস্তি হয় না– আমার।
                ছুটি চায় ছুটি!
তোমার ঝুলন্ত সেতু  থেকে
আগামীতে যদি আসি নিও তোমার সারথী করে।
            
                                               রচনা – বিপ্লব দাস
                                            তাং–২৮.১১.২০১৭(রাত ৭ টা ৩০ )