শতরঞ্জি
বিপ্লব দাস


পংক্তিগুলো পুড়ে যাক রৌদ্রে–
ঝলমল করুক, ধারালো হোক তলোয়ারের মতো।
নিদ্রারত লেখনীর গুলো আজ  পুড়ুক
পুড়ে প্লাবিত হোক লালিমাসিদ্ধ সড়কে।
অলস বিছানায় পংক্তিগুলো মুমূর্ষ হয়েছে অনেকদিন।
জীবন ধূলি শয্যায় ঘুনপোকা ধরেছে,
খন্ড খন্ড অক্ষরের পরিণতি আজ ক্ষীণ রশনা।


পংক্তিগুলো পুড়ে যাক রৌদ্রে–
সূর্য পোড়াক  তার অগ্নিপিন্ড এ
পুড়ে ছাই হোক অলস দিবসে
প্রার্থনা করব সবার জন্য।


হাসুক– প্রকৃতি, নদী-নালা,  গতিহীন ঝিল–
হাসুক জোনাকি, কাদা পঙ্কিল।
হাসুক চন্দ্র ,লেখনী কলম
হাসুক যামিনী ময়, বন জঙ্গলের হরিণী
বনের মহারাজ সিংহ
লেগে যাক ঝগড়া পাখ –পাখালি
হাসুক, পথ ভোলা বিজ্ঞ।


ছি ছি –করুক বিষময় মানবী
দিঘির জলে বারো  জোড়া হাঁস
কাঁটা ময় বাঁকা পথ, দেবতা ঘর
পৃথিবীর অন্তে ছয় ঋতু
আর ক্লান্ত বায়ু।


তবু তুলে নিয়ে আসব না হৃদয়ে
আজ দিব পাহারা শ্বাসরুদ্ধ এ প্রহরে
পাণ্ডুলিপিটা ফুটে বের হোক লাল রঙে
একেকটি লাইনগুলো হোক পরিণত ব্রহ্মা অস্ত্রে।
      
  হোক....
হয়ে যাক আজ প্রচন্ড বিস্ফোরণ–
চেয়ে দেখুক সূর্য
আমি হব না অনল
ধৈর্যহীন বালক।
নীল কুন্ডলীর উপরি স্তর দেখুক "বিধাতার শাড়ি",
উড়ে যায় কোথায়?
ঠিকানাহীন স্রোতে
দেখি নগ্ন রূপের সৌরভ।
অগ্নি কলম শব্দ বাজিতে হোক উৎসব
জ্বলুক সমস্ত অসহায় প্রদীপ
ছাই হোক উচ্চপদস্থ সরকারি হাসি
চমকে উঠুক সমস্ত পৃথিবী।


আমি তো পুড়ে যায় প্রতিটি রাতে–
তবু কেউ গন্ধের নাগাল পায় না
খোঁজ পায় না
জোয়ার ভাটাতে আসে না ফুল– সৃজনে
বাক্স ভরা যন্ত্রণা হবে না জীবনভর সম্মতি।
জ্যোতির্ময় পথ কি পাবে আঁধারে?
শুধু পঙক্তি পান্ডু পুড়ে যাক রৌদ্রে–
অসহায় হলে কেউ দিও একটি শতরঞ্জি পূর্ণাঙ্গ কবিতাকে।।
  
      রচনা –বিপ্লব দাস
    ৭ আগস্ট ২০১৯
   দুপুর ১২ টা ৩৮