"শিশিরবিন্দু অভিলাষ"
বিপ্লব দাস
চোখের জলে একটা নৌকা ভাসবে, ভাসাবে?
মনে আছে, তুমি সমুদ্র ভালোবাসো
সেই কথা বলেছিলে সে....ই কবে।
ফুলগুলো বড়ই পাষাণ ওরা ভাসে না।
আমি তেত্রিশ কোটি জনম ধরে তিল তিল করে সমুদ্র খননের জন্য
আঁখিতে অশ্রু সঞ্চয় করছি।
ঘরভর্তি লালচে চিঠিলিপির মধ্যে প্রায় কিছু চিঠিতে সমুদ্র দেখার ইচ্ছা প্রকাশ ছিল সেখানে।
জানি সময় বড়ই রক্তাক্ত, বড়ই নির্মম,
মানুষ মানুষকে হত্যা করে কণামাত্র মায়া নেই,
চারিদিকে শুধু রণক্ষেত্রের দৃশ্যাবলী।
ধর্মঋতুতে রূপান্তরহীন মানুষ, প্রকৃতির শোভাতেও পিছিয়ে।
মনে হয় কোন এক যুগে সবুজের মানচিত্র চিরতরে উবে যাবে।
বারংবার ভালোবাসি বলে, ভালোবাসার হত্যাকারী খালাসী হতে পারব না।
তোমার মনের অব্যক্ত ভাষা আমার জানা,
তুমি পাখি হতে চাওনি কোনদিন,
তুমি ঘাসফড়িং হতেও চাওনি।
শুধু শিশির বিন্দু হতে চেয়েছিলে
যে শিশিরদানা মানুষ দেখে কিঞ্চিৎ দুঃখ বলে উড়িয়ে দেবে তোমার,
তোমার নাকি অজস্র সুখের লালিমা আস্ফালন!
মানুষের অট্টহাসিতে ফুটে উঠবে ধ্বংসলীলার জৌলুস।
খড়কুটোর মতো রাশি রাশি শিরদাঁড়া পড়ে থাকবে ।
ব্রহ্মান্ডে নগ্ন পাথর গুলো আজও সুখের জামা পড়েনি।
মানুয়ের চিবুকে পরিশুদ্ধ অসুখ লেগে আছে।
শহর জুড়ে হৃদপিণ্ডগুলো দাউ দাউ করে জ্বলছে।
কেউ কুড়িয়ে নেবার জন্য কোমল হৃদয় মেলে ধরেনি।
হে প্রিয়তম বালিকা
পৃথিবীর শুশ্রুষাকারীনি,
আমি ভূখণ্ডের এক পথিক প্রেমিক
আচ্ছন্ন অন্ধকারের শব্দজট ভেঙে দেবো তোমায় শীতল ছায়া
তুমি আমায় চিনে নাও
আমি এক আস্ত আঁখি অশ্রু সমুদ্র
তোমার ইচ্ছার ব্যাপ্তি বর্ণনা পাক গগনতম সুস্থতা,
এই কাব্যগ্রন্থটি স্বর্গীয় হোক তা চাইনা।
মানুষ সমুদ্রের জল হতে ভুলে গেছে..
তাদের হৃদয় মরুভূমি।
চোখের জলে একটা নৌকা ভাসবে, ভাসাবে তুমি?
হোক পূরণ হোক তোমার এই যুগে শিশিরবিন্দু অভিলাষ।।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৪/০৬/২০২২