"সোহাগী আলপনা"
         বিপ্লব দাস(রাহুল)


           উৎসর্গ–দাদা মণি(মানস)


দেবদূত পাখি হয়ে উড়ে এলে আমাদের কুঞ্জে।
আলো সুরের অন্য পৃথিবী নিয়ে
এতময় অনুপম সৌহার্দ্য তোমার–
স্রোতস্বিনীর মত দুকূল  ছাপিয়ে বেজে যায় ভালোবাসার বাঁশি
হৃদয়ে তৃপ্তিময় সোহাগী আলপনা।


মন খারাপের স্বরলিপি নিয়ে এতবার হৃদয় পূরণ হয়েছে,
তবু দীর্ঘ সময় লাগেনি হৃদয়ের দরজা খুলতে
দাদা মণি তোমার এ অনাবিল চৌম্বকীয় টান।
চাঁদ মাখা হাসির ঝলকে মনটা আজ ফুলের মত দুলছে।


ঝলমলে মূর্খের শহর ছুঁতে পারেনি আমার ভেজা চোখ।


তুমি বটবৃক্ষের ঝুড়ির মত আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিলে
উষ্ণতায় আমি নির্বাক, তোমার  উদারতা হৃদয়ে।
শিশিরের ন্যায় ফোঁটা ফোঁটা  স্নেহ ভালোবাসায়
মুছে দিচ্ছো  আমার সমস্ত কালিমা।
হৃদয়ের নিভন্ত তারাবাতি গুলো জ্বেলে যাচ্ছে।


আজ আর কোনো আকাশ জোছনার রক্তক্ষরণের কথা লিখব না,
স্মরণীয় সেই শিউলি ফুলের বিষাদের গল্প লিখব না,
প্রভাতের আলো টুকু পৌঁছানোর জন্য যে অপেক্ষা, তার দূরত্বের কথা লিখব না,
ডায়রী পরীর ভাঁজ থেকে উড়ে যাওয়া  অভিমানী শুকনো স্মৃতিদের কথা লিখব না।
আমার মনেও যে দুঃখ কষ্ট নীলে নীল হয়ে গেছে,
                      হলুদ পাতার মতো ঝরে গেছে,
মন নিকটে   সর্বদা মুমূর্ষ পৃথিবী,
আমার আঁখি কোনে যে দুঃখ পিচুটি আজন্ম জমে জমে খসে গেছে
         সুন্দর পাপড়ি ভেবে মুছে দেয়নি
সেগুলো আর কিছুই লিখব না।


আজ তো চতুর্দিক দাদামণি তুমি বৃষ্টি ধারার মতো ছড়িয়ে দিচ্ছো  ভালোবাসা।
মনটা সবুজ রেখার মত তেড়ে ফুঁড়ে জেগে উঠছে।


আজ আমার আনন্দ আনন্দ  , অভিলাষী ঐশ্বর্য।


এই ভাবেই দাদা মণি ভালোবাসায় আহত করো।।


সর্বদা ভালো থেকো দাদা মণি, সঙ্গে প্রিয় বৃষ্টি ধারা।।


রচনা–বিপ্লব দাস