"সম্পর্কের ঊর্ধ্বে এক সম্পর্ক"
বিপ্লব দাস
জানোতো, তোমার আমার সম্পর্কটা সম্পর্কের ঊর্ধ্বে।
নাম ভাবতে গেলেই কেমন জানি মনের মধ্যে নিঃশব্দ কোলাহল বাজে
আজকের নাম করেই প্রত্যহ শতাব্দী অস্থির মনমহল।
অবশেষে, মনে হয় দুটি প্রান্তে দুটি মায়া বেনুনি তেতুল পাতা,
প্রিয় অঙ্কুর দুটি তৃপ্তিসহ মায়া মেখে অবলীলায় পরিণত বৃক্ষ।
কুড়িটা বসন্তের পলাশ ফোঁটা সুঘ্রাণ কুঁড়ির মত পেয়েছি
নীলিমা নাবিকার আঁখিতে নেই আমার চিত্র।
তবুও আজ দেখো, ভুল করেই তোমার নামে মনে অজস্র উপন্যাস লেখা হচ্ছে।
কবিতার নাম করে এ ছোঁয়াচেরোগ,
বিলিয়ে দেবো শহরের ব্যাথার পাজঁরে।
একদিন এই রোগে সমস্ত মানবী ফুটে উঠবে ফুলের পাপড়ির মত সুন্দর হয়ে,
এ পবিত্র সুরে অত্যাচারিত হবে শহর।
তোমার আমার সম্পর্কটা সম্পর্কের ঊর্ধ্বে
যার কোনো নাম নেই।
এ সম্পর্কের নামকরণের গবেষকেরও এখনও জন্ম হয়নি।
আজীবন শুধু তুমি– আমি বন্ধুত্বের তকমা লাগিয়ে বেঁচে যাবো।
তার থেকেও ঊর্ধ্বে নাম চাপিয়ে গেলেই
অবশ রজনী দিবস।
যার ধ্বংস নেই।
যেখানে সূর্যের মধ্যে একটা নতুন সূর্য ওঠে,
যেখানে পৃথিবীর মধ্যে একটা নতুন পৃথিবী বাস করে,
যেখানে আকাশ এর মধ্যেও একটা গোপন আকাশ ছায়া দেয়,
তাদের মধ্যেও একটা চাঁদ অন্তহীন শান্তির ঘুম পাড়িয়ে দেয়।
স্বপ্নের ঊর্ধ্বে একটা জ্বলন্ত দৃশ্যায়ন প্রতিশ্রুতি পেয়ে গেছে শ্রেষ্ঠ পূর্ণতা।
দিনের শুরু থেকে শেষ সবটাই তুমি ছুঁয়ে।
মায়াবী টানে একটা এমনই নতুন জীবন দিয়ে,
পুড়িয়ে দিলে সমস্ত মন খারাপের ফসল।
কাজল পড়া দিনের মতো আমাদের প্রতিটা সোহাগ দিন।
অভিযোগ নেই,আবদার নেই
শুধু অভিমান আছে,
আর দুজন দুজনের মুখ থেকে দুটি কথায় বের হয়–এখন
আর কতক্ষণ বলো আর কতক্ষণই ?
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১১/০৩/২০২২