"স্মরণীয় প্রস্থান"
        বিপ্লব দাস


তুমি তার গোপন ঠিকানা পেয়ে গেছো ।
এর জন্য কোনো কসরত আখ্যান ফুটে ওঠেনি।
খুব সহজেই ঢুকে  পড়েছো তার অন্দরমহল
সেও চুম্বকীয় শতরঞ্জি পেতে দিয়েছে,
তোমাকে বসার জন্য।
তার জীবন গল্প অবশ আবহাওয়াই  তুমি মাতাল–
  সেও আবহবিদ্যার পারদর্শী।


আমার ঠিকানা আজও কেউ খুঁজে পায়নি।
আমায় খুঁজে পেতে গেলে  প্রত্যহ দফায় দফায় সূর্য প্রণাম করতে হবে,
রাত জেগে প্রতিটি দিস্তাখাতার অন্ধকার শব্দসড়ক দিয়ে হাঁটতে হবে,
সমুদ্র, সাগর, পর্বত, সমতল পেরোতে হবে।
খুচরো পয়সার মত আজও মায়ের স্বর্গীয় শান্তিময় আঁচল  গিঁটে আমি সুরক্ষিত।
সে কম্পমান গিঁট খোলা তোমায় জানতে হবে ।


আশারত মানুষপাখির মত আকাশে নিলামে তুলে দিইনি নিজেকে,
ছোঁ দিয়ে ধরেই সমার্থক শব্দে সম্পূর্ণ করবে সম্বন্ধ ।
খুব সহজেই সহজ হতে পারেনি কোনদিন।


তুমি তার গোপন ঠিকানা পেয়ে গেছো।
সহজে রাত জেগে জেগে সেও নিজেকে ভাঙে কবিতা, উপন্যাস, গল্প, গানে–
কলম ঘষে ঘষে  আলো করে
ভূগোল
মোটা ফ্রেমের ভেতর দিয়েও চোখ দুটির মারাত্মক নেশা, রাত জাগা তার...
যেন প্রতিদিন প্রথম ভালোবাসার তীব্র স্পর্শ।
এই কষ্টের মঞ্জুরী শিখায় বিহ্বল ভাবুকি হয়েছিল  বহু অচেনা মানুষ ।
এমন দমকা হাওয়ায় তুমি বিজ্ঞাপন রচিত করেছিল শহরে শহরে,
তোমার শাড়ির বাহু উড়ছিল উন্মাদগ্রস্তে
তুমি  ক্যামেরার সামনে শরীর চর্চিত করে গল্প শোনাও
সে অচেনা কবির খুশি দিয়ে বেনুনি করা সুখ।


তাটা দুজনের চলে যাওয়ার দৃশ্যটা স্মরণীয় প্রস্থান।


আমার কাছে বিস্ময়কর...


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২৫/০৭/২০২২