"উড়তে দিও তোমার বুকে"
                         বিপ্লব দাস


দুপুরের মেঘে আজ লেগে আছে অসুখ,
চোখদুটি আজ ভীষণ লাল, বিছিয়ে দেয়নি কেউ শীতল বুক।
ঘরের ভীতর আজ কান্নার মোমবাতি,
সুরে সুরে ঝরে যায় সারারাত্রি।
চোখের অতলে ডুবে যায় গভীর বেদনা,
পাখিটির ডানা ঝরার  অসম্ভব ব্যথা বন্যা,
অজানায় পড়ে যাওয়া পালক সেও বোঝেনা।
ভালবাসার কাঙ্গালে ফুটে ওঠে কঙ্কালের শোভা,
জ্বরের মতো ফুটফুটে বাচ্চাটি
ছড়িয়ে দেয়, আমার শরীরে আভা।
জীবনটা আজ বৃক্ষের মত শব্দহীন,
আলো-ছায়া ঘরটাই পাখিটি আজও পরাধীন।
জ্বরে জ্বরে যদিও অর্ধ জীবন হয়ে যায়,
তবুও অসুখের আদরে পাখি হয়ে উড়তে  চাই।


অসুখ হলেই আমার পাখি হতে ইচ্ছে করে,
পাখির মতই সংসার হোক, ঐ আকাশের পাড়ে।
তবুও তুমি তো বুঝবে না
ওরে, ঈশ্বর আত্মা আমাকে,
মরনের ওপারেই বেহিসেবি উড়তে দিও তোমার বুকে।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৭/০৩/২০২২