উত্তরণ
  বিপ্লব দাস


হাওয়ায় শব্দ ওড়ে আজও,
সুর  ওড়ে, কথা ওড়ে, বাক্য ওড়ে
                অপূর্ণাঙ্গ কলরবে।
মাতৃগর্ভে সেই শব্দ–
ছোঁয়া পেতে চায় ছাড়পত্রহীন শিশুটি।
ফুলের কুঁড়ি যেভাবে ফোটে, ঝোড়ো হাওয়ায় রাতের পর রাত।
তাদের কলিজা ছিড়ে বা তার পরম প্রিয়জনদের খন্ড খন্ড করা
অসাধ্য চক্র বৃত্তে।
হৃদয় হরন মানবী আত্মস্থ করতে চায় আর সোনালী বর্ণ–
নেই তাদের আর যৎসামান্য ক্ষুধা।
রবীন্দ্রনাথ, মাইকেল, নজরুল  সমাজে লজ্জিত–
ছুঁয়েও দেখেনা কেউ বঙ্কিম সাহিত্য।
তাদের সুর, শব্দ, কথা, বাক্য আজ বিরাম চিহ্ন!
দুমড়েমুচড়ে পড়ে আছে ধূসর মাটিতে,
অপূর্ণ গ্রাসে, ঠাঁই আজ অভিধান নর্দমার জলে ।
যেখানে আর ফুল ফোটে না আজীবন।
মৃতপ্রায় সমস্ত পান্ডুলিপি।
একদিন সমস্ত স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ
বুঝে নেবে অবুঝ  প্রাণীর দল।
সমস্ত মানব-মানবী হবে বোবা।
সমস্ত শব্দের পাখা ছিঁড়ে ছিঁড়ে লুটিয়ে পড়বে বেদীতে।
নাড়ী থেকে মুক্তি পেয়ে যেসব "মানব–মানবী"
মূর্খের খড় গুঁজেই রসাস্বাদন করবে মাতৃস্নিগ্ধতা।


জরাজীর্ণ হাওয়ায় সৃষ্টি হবে নবীন ভাষা,
নব উত্তরণ।
প্রতিটি বর্ণ হবে মধুর।
প্রাণীদের শব্দসবুজ  কঙ্কনের ঝনঝনানিতে
হবে উৎসব মুখর।
পৃথিবীর সঙ্গে আকাশ-পাতাল ছোঁয়া,
মেদিনীর বুকে কলঙ্কিত মানব-মানবী করবে শুধু
"অ, আ"।


রচনা– বিপ্লব দাস
১০ আগস্ট ২০১৮
বিকেল৫টা১০