ভাববো না তবুও ঈশ্বর আমায় ভাবনা দিল
    বিপ্লব দাস


বেশ ছিলাম কবিতার ব্লাউজ সেলাই করতে করতে,
বেশ ছিলাম কবিতার ছেঁড়া জুতা সেলাই করতে করতে,
বেশ ছিলাম তিন টাকার বলপেনে কবিতার শরীর কালি করতে করতে
                              বেশ, বেশ ছিলাম কবিতার শহরজুড়ে।
পাঁচ বছর আগে ভাবনার গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে ছিলাম,
সে থেকেই আমার ব্রহ্মান্ডে শুভ্র জোছনার স্নান,
প্রশান্তির অন্ধ বাতাসও আমার শরীরে বয়ে যেত অক্ষরে অক্ষরে।
সেই থেকেই বন্ধ করেছি ভাবনা দরজা–
প্রবেশ করতে যেন না পারে কোনো মোহ মায়া।
কবিতাকে নিয়ে নিত্যদিন বন্দরে বন্দরে, দেশ-বিদেশে, ফুটপাতে ,  আড়তদারে, মন্দিরে পাহাড় সাগর ভ্রমণে ব্যস্ত,
কবিতা কখনো বলেনি– সখা আজ রাগ করেছি,
তুমি, তুমি নিয়ে এলে আমায় পতিতালয়ে, কয়লার ভূগর্ভে
আমার ভীষণ জ্বর বালিশের তুলো গুলো পুড়ছে
আদরময় উষ্ণ অশ্রুশিশির দাও– কখনো চাওনি।


কবিতার  সিঁথির রেখায় সিঁদুর নেই, আছে সঞ্চয়িতা,সঞ্চিতা
আর আমার ভুল সেলাই করা আঙ্গুলগুলোর ছোঁয়া।


ভাববো না তবু ঈশ্বর আমায় ভাবনা দিল,
কোথা থেকে উড়ে এলো মায়াভরা বর্ণপরিচয় পালক
আমার জীর্ণ বাসায়।
ভেঙে গেল কংক্রিট বাঁধ
না ভাবনার কি বৃষ্টি হল
তার কণ্ঠে বেজে গেল জননী সুর,
আমায় ভাবতেই হলো তার মায়াভরা ঠিকানা।
অভিপ্রায় সংসারে কবিতাকে নিয়ে–
আমি এলোমেলো সুখী
পারছে  না ঈশ্বর, মন দুর্বল আওয়াজ শুনতে
এই দায়-দায়িত্ব ভাবনা আপনি নিন, আপনি।


আমি বেশ বেশ ভালো  আছি কবিতার অভিধান নিয়ে,
আমি কবিতার অশ্রু হাসিতে মেশানো  ঝিনুক।


শুধু ভাবনারই চিরতরে  বিয়োগ চাই আকাশ ছোঁয়া.......


রচনা–বিপ্লব দাস(রাহুল)
২১জুন ২০২১