শহর ছাড়ি অনেক দূরে  
  বিদ্যাধরী নদীটির তীরে
                       বিজয়নগর গ্রাম।


কমলা লক্ষণের ঘরে      
   কণিষ্ঠরে পিছু  করে
               বিপ্লব আমি জন্মিলাম।।


বলেছিলো পিতা মোরে    
সংসারের জঞ্জাল মুছিবারে  
                তোরে কলম খানি সঁপিলাম ।


অন্যরা কয় আমাতে নিশ্চয়
একদিন হবে এই সমাজ জয়
                         কিন্তু আমি মনে ভ্রমিলাম ।।


দেব যেথা ভুলুন্ঠিত
সভ্যরা সবে ভয়ে কুন্ঠিত
                কিভাবে জাগাব  সভ্যতারে।


নামে শুধু আর নয়
এইবার কিঞ্চিৎ করিতে হয়
                সাহস লইলাম কলম উঠাইবারে ।।


দেব যেথা আজ অপাংতেয়
      রাজার কাছে পশুরা শ্রেয়
                    মর্যাদা শুধু জাত পাতের।


পেটে  ছেঁড়া গামছা বেঁধে
       ভাঙছে আর ভাঙছে শুধু
                  এদের দরকার নেই ভাতের ।।


একে অন্যের রক্ত খেয়ে
রাজনীতির সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে
                ধ্বংসে  বুঝি বাঙালি সভ্যতার।


আর কতদিন লেলিহান জিহবা
খুবলে খাবে তোমার শরীর
                  দূর করো এই অন্ধকার ।।


ওরা শ খানি কিংবা হাজার
  তোমরা রয়েছো কয়েক লক্ষ
                        তবে ভয় কেন আর।


নিজের বুকে লাগলো যে তীর
  কত  অপমান সইবে বাঙালী
                         জাগো বাঙালী একটিবার ।।