আমি অনন্ত নই আমি জানি
তুমি ও তো মিথিলা নও
কবির লেখনীর নায়ক নায়িকা
কেউ তো নই আমরা।
তাই আমার নেই কোনো আবেগ
নেই কোনো উচ্চাকাংখা।
শুধু একটাই আবদার ছিল আমার
আমি চাইনি তোমায় আমার বিছানায়।
শুধু বিজয়ার দিনে একটিবার
ওই ডুরে লাল সাড়িটা পরে
মাথা নত করে আমায় প্রনাম করবে।
আর আমি আলত করে চিবুক ছুয়ে
তোমায় আশীর্বাদ করে বলবো ,
যুগ যুগ ধরে তুমি আমার পাশে থাকো।
তোমায় যুগ যুগ বেচে থাকার
আশীর্বাদ করার শক্তি আমার নেই।
এত টা বোধ হয় বিধাতা পুরুষ
আমায় দেয়নি ,আর দিয়ে ও কি হত বলো
আমি তো সারা জীবন তোমায় ছাড়া ভাবিনি।
আর সেটাই হয়তো আমার ভুল।
তুমি স্বার্থপরের মত ছেড়ে চলে গেছ
কোনো দিন ও খবর নাওনি আমার।
আমি শরত বাবুর লেখনীর দেবদাস নই
তবু ও দেবদাসের মত কাটে সারাদিন
ডুবে থাকি আকন্ঠ সুরাপানে।
জানি একদিন আমি যাব
তাতে কোনো দুঃখ নেই আমার।
কিন্তু মৃত্যুর পরে যদি তুমি এসে
ফুলের মালা হাতে নিয়ে সামনে দাড়াও।
তোমার কান্নার সাথে যদি মেঘ ও কাঁদে
তাহলে যে আমি মরে ও শান্তি পাব না।
দোহাই তোমার জীবিত থাকতে যাকে
একবার দেখতে আসনি সে কেমন আছে
মৃত্যুর পর তার জন্য কেদে কি লাভ ?
আমি একাই চলে যাব তোমায় ছেড়ে।
কেউ তো আমায় নিয়ে লিখবে না
সবাই আমায় ভুলে যাবে জানি।
তুমি ও ভুলে যেও লক্ষী টি দোহাই তোমার।
দেখবে তুমি সুখে থাকলে আমি ও সুখে থাকব
সে আমি যেখানেই থাকি না কেন ?
শুধু তুমি ভালো থেকো।