অন্তহীন পথ চলতে গিয়ে হঠাত অনন্তের সাথে দেখা
মিথিলা যখন রাতের বেলায় বিছানায় বিনিদ্র একা ,
মন ও  দিল , দেহ ও  দিল , নিজেকে করলো সমর্পণ
মৌমাছি করলো মধু পান , মিথিলা হারালো যৌবন
রূপ রস গন্ধ যা ছিল অহংকার , সবই অনন্তের কাছে
সেই মৌমাছি উড়ে গেল যখন  বাঁচার আর  কি আছে ?


চিবুক আজ গিয়েছে ঝুলে , মাথার কেশ হয়েছে সাদা
শুকনো ফুলে আসে না মৌমাছি , ওরা নয় যে গাধা ,
উঠতি যৌবন তরুণী তন্বী সারা রাত কত প্রেমালাপ
আজকে মিথিলা একা হাসে কাঁদে , পায়না সে গোলাপ,
একটুকু আশা জমে থাকে বুকে , অনন্ত আজ চিরসুখী
মনে তবু ভয় কি জানি আবার মিথিলা জন্মাবে নাকি ?


অভিযোগ নয় কি জানি কি এর নাম ,কিছু একটা বটে
পুরুষ মাত্রেই কি মৌমাছি , শুধু মধুর লোভেই ছোটে ,
আরো কতকিছু দিয়ে দেয় মিথিলা নাই কি তার দাম
কুমারী বয়সে হতে সংযত , মিথিলা দের ছোটে ঘাম ,
গচ্ছিত সে ধন ,অমূল্য রতন ,মিথিলার কুমারী মন
সব নিশ্বেষে দিয়েছিল  সে ,  আগলে রাখা তার যৌবন।  


পৃথিবী টা কি এভাবেই চলবে , মধু মধুকরের চির সম্পর্ক
যুগে যুগে বৃথা জন্ম মিথিলাদের , নেই তাতে কোন গর্ব
দেওয়া নেওয়ার এই সমাজে পারবে দিতে সে যতদিন
সব কিছু তার গর্ব , অহংকার , বাকি দিন গুলো খুব কঠিন ,
বিষের প্যাকেট  কে কিনে দেবে অনন্ত আর নেই তো আর
এ গল্প একটি মেয়ের নয়তো পৃথিবীর শত সহস্র মিথিলার।