বাস থেকে নেমে রাস্তার একপাশে দাঁড়ালাম
গুটিসুটি মেরে , খানিক টা কুঁকড়ে ও বটে
যা গরম পড়েছে আজ , গায়ের চামড়া পুড়ে যায়
এই ভর দুপুর বেলায় বাদুড় ঝোলা অবস্থায় ।
দাঁড়িয়ে আছি ,হয়তো ভাবছি এবার এগোবো
বাড়ির পথে , পিছন থেকে আমার নাম ধরে
কেউ চিৎকার করে উঠলো , এই অনিষ
পিছন ফিরে ঘুরে সুপ্রিয়া কলেজের বান্ধবী।
এগিয়ে গেলাম, কথায় কথায় সময় গড়াল
জানতে পারলাম ওর বিয়ে হয়েছে , বর আছে
তবুও ওর শরীরে সধবা স্ত্রীর কোনো চিহ্ন নেই।
শাখা সিঁদুর ওসব পুরানো হয়ে  গেছে
শাখা সিঁদুর এর দিন এখন শেষ , বড্ড সেকেলে ।
ও চলে যাওয়ার পর আমি দাঁড়িয়ে থেকেছি
রাস্তার পানে চেয়ে রাস্তাকে জিজ্ঞাসা করেছি
সত্যি কি শাঁখা সিঁদুরের দিন শেষ ? সেকেলে।
রাস্তা নিশ্চুপ নিরুত্তাপ কোনো উত্তর দেয়নি
তাহলে উপায় সুপ্রিয়া যদি ওর বিবাহের কথা ,
ওর স্বামীর কথা না বলতো জানতে পারতাম কি ?
কোনো ভাবে তো বোঝার উপায় ছিল না আমার ।
সত্যি কি সেকেলে শাখা সিঁদুরের দিন শেষ ?
দূর্গা যদি শাঁখা সিঁদুর ছাড়াই বাপের বাড়ি আসে
তাহলে সেই চির পরিচিত দূর্গা হারিয়ে যাবে।
মেয়েরা ও কি ঠিক তেমন নয় ,
কুমারী , সধবা , বিধবা সবাই কি একই রকম
তাহলে কেন এতদিন এই নিয়ম চালু আছে।
নাকি সবই মিথ্যা , আসলে সবারই দিন শেষ ?