ছুটি? ছুটি দরকার? এখন? এ মুহূর্তে? এই পদাবলী থেকে? এই রুদ্র-রোদ্র থেকে? এই আলো-অন্ধকারঘন রহস্য থেকে? এই গদ্য-পদ্যময় লাবণ্য ও রুক্ষতা থেকে? এই নাটকীয় ঘটনার ছদ্মবেশ থেকে? মৌন ও গৌণ গাম্ভীর্য থেকে? এই সুবিশাল ও বিস্তৃত হিমশীতল পর্ব থেকে?


নাকি, এই অসার সময় থেকে? সময়ের এই রঙীন দ্রবণ থেকে? বৈরী যুগ থেকে? দীঘলকালো কাল থেকে? খঁসেপড়া বৃক্ষের শুকনো বাঁকলের মত ছুটি দরকার আজ?


নাকি তারকার মত ছুটি দরকার- যেভাবে ছুটি নেয় তারাখঁসা আকাশের!


ছুটি দরকার! সে ছুটি কি প্রবাহমাণ জল-স্রোতের মত! যেমন ছুটে চলে খরস্রোতা পদ্মার অজস্র জলরাশি! তারা কি ফিরে যায় উৎপত্তিস্থলে কোনদিন আর?


জানি না।
জানতেও চাই না। শুধু ছুটি দরকার- মন থেকে মনের। দেহ থেকে দেহের। মায়া থেকে মায়ার। কায়া থেকে ছায়ার।


ভঙ্গুর ভালোবাসা-
মিথ্যে বিলাস-
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুটিলতা ও জটিলতা-
অজস্র সম্ভবনার ভুল-
সব থেকে চুটি চাই। আমায় ছুটি দেয়া হোক। আমি ছুটি চাই।
এই নিষ্ঠুর সমাজ থেকে আমি চুটি চাই আজ!


আজ- আমি যন্ত্র হয়েগেছি- সময়ের
আজ- আমি মন্ত্র হয়েগেছি- কাজের
আজ আমি মৃত হয়ে আছি- নিজের আত্মায়;
আজ আমার চূড়ান্ত ছুটি দরকার- চূড়ান্ত মৃত্যুযাত্রায়!


ইস্কাটন, ঢাকা, রাত, ১৫ নভেম্বর’১৮