এখন সংকট মহা;
                          সৃষ্টির দুর্দিন,
শান্ত ধরায় শান্তি অর্বাচীন।
এখন কন্টক সহা;
                         মানুষ শান্তিহীন,
মহাবিশ্বের মাঝে দৃষ্টি অচীন।


এখন রৌদ্র দগ্ধ ভূতলে যুদ্ধের সম্ভার
এখন সহ্যের সীমানায় সুতীব্র হাহাকার
এখন মায়ামরুর তপ্ত বালুর অনুভূতি
এখন ধরনীর বুকে অনাকাঙ্খিত দুর্গতি
এখন কঠোর-শীতল ক্ষমতায় হানাহানি
এখন দেহ থেকে ঝড়ে পড়ে নোনা পানি
এখন রুক্ষ মাটির বুক ফেটে চৌচির
এখন পরিহাস করে পাতাঝড়া তরুবীর
এখন কৃষকের মুখে রোদে পোড়া ম্লান হাসি
এখন নদীতীরে স্রোত ভাঙ্গে ফুটন্ত জলরাশি
এখন শীতল ছায়া দূর পরাহত
এখন সূর্যগোলক-সবুজ বৃক্ষ ভিষন যুদ্ধে
রত


এখন দগ্ধ উষ্ঠ প্রান;
           পিপাসায় বুক ফাটে,
হয়তোবা কোন জীব কাতরায় দূর মাঠে।
এখন অমোঘ তিক্ত আহবান;
                      জলহীন কোন ঘাটে,
তৃষিত পিখির বড় অসহায় দিন কাটে।


এখন শুকনো পাতায় করুন আর্তি শুনি
এখন অধির নয়নে সস্তি স্বপন বুনি
এখন নরম রোদে জেগে উঠে কচি ঘাস
এখন বহুদূর মাঠে ফসলের উল্লাস
এখন বৃক্ষের ডালে আদ্রতা সংবাদ
এখন মৃদু বায়ু সাজে দুরন্ত উন্মাদ
এখন আকাশে বাতাসে সন্ধি পতাকা উড়ে
এখন ব্যাঙাচির পিছে সাদা বুনোহাস ঘোরে
এখন ধোয়াটে সময় পেরিয়ে গ্রহন কাল
এখন ঘন কুয়াশার মাঝে উঠবে সূর্যলাল
এখন বেদনা নীল ঢেকে আকাশের মুখ ভার
এখন মহাকাশ জুড়ে মেঘ ছুটে দুর্বার


এখন যুদ্ধ থামবে;
               শান্তির বাণী শাশ্বত,
নি:সীম মহাকাশে পৃথীবির মত।
এখন বৃষ্টি নামবে;
            ঝিরিঝিরি শব্দে ক্রমাগত,
রুদ্র ধরাতলে কবিতার মত।