তুমি এসেছিলে শত সহস্রাব্দ আগে,
পৃথীবি তখন অন্ধকারে; মহা কলঙ্ক দাগে।
কাবার ভেতর ব্যস্ত মানুষ মূর্তি গড়ার কাজে,
বড় আয়োজন করে ওরা বাস করে পশুদের সমাজে।
স্বাতন্ত্র আর শ্রেষ্ঠতা তাই ধুলায় লুটানো সখে-
সত্তাবিহীন মর্যাদাহীন অবনত মস্তকে-
ভ্রান্ত পথের পথিক ওরা করুণ আর্তি তোলে-
কাঁদামাটি গড়া সৃষ্টির পায়ে নিজ পরিচয় ভুলে,
ওরা চায় সবে নিজ হাতে গড়া সৃষ্টির দাস হতে;
পূণ্য-পাপীর মহা সংঘাত চলে মক্কার রাজপথে।
এমনি সময়ে; গোপন খবরে; গ্রহ পরিবার ছোটে,
একটি শিশুর আগমন শুনে ভোরের আলো ফোটে।


কলুষিত কাল আজকে তোমার দারুণ দুঃসময়,
নুতন কালিতে লিখা হবে আজ পৃথীবির পরিচয়।
পৃথীবি কাঁপায় ক্রন্দন ধ্বনি; বাকা হাসি চাদে;
বিশ্বের মাঝে মহা সাড়া জাগে তোমার আগমণ সংবাদে।
সেই ক্ষণ হতে শান্তির বানী বহুযুগ ধরে,
আকাশে বাতাসে কোলাহল জুড়ে মৃত্যুর ঘুমঘোরে।
মরুপ্রান্তরে বেড়ে ওঠা শিশু পিতৃমাতৃহীন-
আধারের যুগে একফালি চাঁদ; আরবের আল-আমিন।


যুগ-যুগান্তরের ভয়
আর ঐ অন্ধ রাতে;
তোমার কথায় আনন্দ বয়
বিশ্ব মানব মাতে।
তোমাকেই খুজি দুর্বল মাঝে; বিশ্ব মানবতায়,
খুজি ধরণীর বুকে; উজ্জল তারকায়।
তপ্ত মরুর পথ পেরিয়ে আজ মহাকাল পর-
আমরা চষি তোমার খোজে বিশ্ব চরাচর-
নির্যাতীত দরিদ্র আর প্রাচীর ভাঙ্গা ঘর।
আমরা খুজি সবার মাঝে তোমার বসবাস,
সহস্র যুগ; হাজার বছর; নিত্য বারমাস,
ভূ-তলে আর অথৈ সাগর; অসীম মহাকাশ।


চন্দ্র-সূর্য; এই পৃথীবি; বিশ্ব-ভূবন জানে,
আত্মভোলা করুণ চোখে তোমার পথের পানে-
হৃদয়ের সব বাধন খোলে এ চরম ক্লান্তি মাঝে,
আপন সত্তা ভুলে; সকাল সন্ধ্যা সাঝে-
আর্ত চোখে আর অব্যাক্ত ব্যাকুল ভাষায়
শত সহস্রাব্দ জুড়ে কোন এক নিরব প্রত্যাশায়
সব কিছু অপেক্ষা করে তোমার জন্য।
পাহাড় নদী সাগর ঘন অরণ্য।
("শত সহস্রাব্দ" কথাটি দীর্ঘ সময় অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে)