বাবার কাছ থেকে পাওয়া সম্পত্তি নিয়ে আমরা গর্ব করি খুব,বাবাও হয়তো উনার বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন কিংবা নিজে গড়েছিলেন।এখানে আমার কোন ভুমিকা নেই,উত্তরাধিকার সূত্রে আমি সম্পত্তির মালিক সেটা ভেবেও আমার বুক খানিকটা চওড়া হয়।


খুব সহজে পাওয়া কিংবা বিনা পরিশ্রমে পাওয়া এমন অনেক কিছু নিয়ে আমরা অহংকারী হয়ে যাই আর বেমালুম ভুলে যাই কিংবা প্রয়োজন মনে করি না নিজেকে আবিস্কারের চেষ্টা।


গর্ব করি আমরা ধর্ম নিয়েও।সবাই নিজ নিজ ধর্ম নিয়ে অনেক অনেক বক্তব্য চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি। ধর্মটাও বাবার কাছ থেকেই পাওয়া, আমার বাবাও উনার বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন।


এখানেও আমার কোন ভুমিকা নেই।ধর্মের জন্য আমি কিছুই করিনি আমাকে কিছুই করতে হয়নি।এটাও উত্তরাধিকার সূত্রের মতো একটা সম্পত্তির মতো।


আমি দুটোকেই আগলে রাখতে পারি কিংবা না ও রাখতে পারি।আমি চাইলে উত্তারাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে পারি,আমি চাইলে ধর্মান্তরিতও হতে পারি।কারণ এর কোনটাই আমার পরিশ্রমের ফসল নয় তবুও আমি গর্ববোধ করি ক্ষমতার বিচারে, অর্থের বিচারে কিংবা আবেগীয় বিচারে।


কিন্তু নিজের বিচারে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করার মতো অবস্থান তৈরীতে বড্ড উদাসীন আমরা।আমরা যতটুকু অহংকারী হই তার কিঞ্চিত ভাগ মানুষ হতে পারাটাও গর্বের বিষয়।


উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সাথে আমারও পরিশ্রম যোগ করি,যদি ধর্মের মূল বক্তব্যের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করি মানুষের কল্যাণের জন্য তবেই তো গর্ববোধের জায়গাটা সচ্ছ হবে।


মুখোশ নয় মানুষ হওয়াটাই গর্বের বিষয়।


বিপুল চন্দ
সিলেট, বাংলাদেশ।